বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ক্রমান্বয়ে শক্তি সঞ্চয় করে গতকাল গভীর রাতে ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'য় রূপ পরিগ্রহ করেছে। গতকাল রাতে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ উঠছিল ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এ কথা জানান সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকাসহ ১৮ অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের শঙ্কা
৯৫ কিমি গতি নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’
সাগরে লঘুচাপ, আগামী পাঁচ দিনই বৃষ্টির সম্ভাবনা
মোস্তফা কামাল পলাশ লেখেন, জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত দৃশ্যমান মেঘের চিত্র দেখা যাচ্ছে গভীর নিম্নচাপটি সংগঠিত হয়ে পুরোপুরি ঘূর্ণিঝড়ের গঠন আকৃতি ধারণ করেছে। আমার বিশ্লেষণ অভিজ্ঞতার আলোকে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
তিনি লেখেন, ঘূর্ণিঝড় ডানার কারণে যে ঘূর্ণ্যমান মেঘের সৃষ্টি হচ্ছে তা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার জেলাগুলো পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ডানার বহিঃস্থ মেঘের কারণে আজ দিনের বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে আজ সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে।
মোস্তফা কামাল পলাশ আরও লিখেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলে আঘাত করলেও এর প্রভাব ভালোভাবে পড়বে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর ওপরে।
জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত একটি ছবি সংযুক্ত করে পলাশ লিখেছেন, নিচের ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট ঘন মেঘ ও বৃষ্টি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতের ত্রিপুরা, মনিপুর রাজ্য ও মিয়ানমারের দিকে অগ্রসর হবে।