Dhaka, শুক্রবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২৪

কেমন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা?

Staff Correspondent

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:১৯ এএম
Bangla Today News

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরশাসকের  পতনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়মের সংস্কারের দাবি করছেন প্রত্যেকেই।

৫ আগস্ট ২০২৪ নতুন করে দেশ স্বাধীনের পর পরই শিক্ষার্থীরা নজর দেন দেশ সংস্কারের কাজে। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে পরপর অভিযানের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ের সিন্ডিকেট,অনিয়ম-দুর্নীতি সংস্কারের কাজ চলেছে।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে এবার নজর দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।ছাত্র আন্দোলনে নতুন দেশ গঠনের পর কেমন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষার্থীরা-তা নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন এর শিক্ষার্থী হালিমা তুস সাদিয়া আমাদেরকে জানান,"আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স রেজিস্ট্রেশন ফি বরাবরই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় তুলনায় একটু বেশি।আমি মনে করি,এটা একটু কমালে আমাদের সবার জন্য ভালো হতো।এদিকে আমাদের ২ নং বিল্ডিং এর নিচ তলার খাবার পানির ওয়াটার ফিল্টার টা অনেকদিন থেকে নষ্ট হয়ে আছে।নিচ তলার সবার পানি আনতে দুইতলা বা তিনতলায় যেতে হয় সব সময়। যা খুবই কষ্টদায়ক।নিচের তলায় ল্যাব থাকায়,এখন দীর্ঘক্ষণ ল্যাবে কাজ করাটা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।আর আমরা যারা বাসে আসি কখন বাসটি কোথায় থাকে তা জানার প্রয়োজন হয়। পেজেও সঠিক করে আপডেট দেয় না।এজন্য বাসের সময় সম্পর্কে প্রতিদিন যদি আপডেট দেওয়া হতো এবং কোনোদিন যদি বাস না যায় সে বিষয়ে যদি আগে থেকে জানানো হতো তাহলে আমাদের জন্য ভালো হতো।"

বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী পুষ্পিতা সানা বলেন,"প্রত্যেক ডিসিপ্লিন এর রেজিস্ট্রেশন কর্মকান্ডের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে কিছু ফিস নেয়া হয়। যেটা অত্যন্ত দরকারী। ডিসিপ্লিন এর কার্যক্রমে এবং একাডেমিক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের জন্য আমাদের ভার্সিটি থেকে যে ফিসটা নেওয়া হয় সেটা আমাদের অনেকের মতামত অনুযায়ী, শুধু ব্যক্তিগত মতামত নয় এবং যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল তাদের জন্য খরচটা ব্যয় করা বেশ কষ্টসাধ্য। আমরা দেখেছি অন্যান্য ভার্সিটির রেজিস্ট্রেশন ফিসটা সেটা আমাদের ভার্সিটি থেকে তুলনামূলক বেশ কম, যেমন আমরই এক বন্ধু যার মা দিনমুজুরী করেন এবং বাবা শারীরক অসুস্থাতার কারনে আয় রোজগারে অক্ষম এবং তার আরও ভাইবোন রয়েছে।তার পক্ষে এই রেজিষ্ট্রেশন ফি বহন করা প্রায়শই কঠিন হয়ে পড়ে। যার কারনে আমাদের সাহায্য করতে হয়।তাই আমার মনে হয় এই রেজিষ্ট্রেশন ফি এর বিষয়টা একটু নজরে আনা উচিৎ। এবং আরো একটি বিষয় রয়েছে,অনেকে অনেক সময় বিভিন্ন কারনে কোর্স রিটেক নিয়ে থাকে।এই রিটেক কোর্সের ফি ও অনেক বেশি। এটাও একটু নজরে আনা উচিৎ।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিন এর শিক্ষার্থী সুকন্যা সানজানা বলেন, "খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোটামুটি সব সেক্টরেই সংস্কারের কাজ চলছে। আমার মতে এখন মেডিকেলের দিকে একটু নজর দেওয়া উচিত।যেমন আমরা স্টুডেন্টরা প্রায় সময় শারীরিক কিছু অসুস্থতা নিয়ে যাই। কিন্তু পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাই না,পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যবস্থা নাই। খুব দ্রুত এসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।আর একটি বিষয়,আমি নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করি।বেশিরভাগ সময়েই ক্লাস শেষ করে যেয়ে দেখি বাসের অধিকাংশ সিট খাতা,কাগজ কিংবা বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে অন্যের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।আবার দূরপাল্লার গাড়িগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের শিক্ষার্থীরা ওঠেন,যেখানে আশেপাশের জন্য নির্দিষ্ট বাস রয়েছে। এজন্য আগে এসেও দীর্ঘ পথ দাঁড়িয়ে যেতে হয়।যেটা যথেষ্ট কষ্টদায়ক। আবার কর্মচারীদের জন্য নির্দিষ্ট বাস থাকলেও তারা অধিকাংশই শিক্ষার্থীদের বাসে যান।এতেও সিট সংকট তৈরি হয়। আমি মনে করি,এই ক্ষেত্রগুলোতে এখন একটু সংস্কারের প্রয়োজন।"

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিন এর শিক্ষার্থী রাতুল খান বলেন,"আমি চাই খুলনা ইউনিভার্সিটি প্রশাসন যেন রিসার্চের প্রতি আরো বেশি প্রায়োরিটি দেয়। ইউনিভার্সিটিতে আরও কিছু ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন। সর্বোপরি ইউনিভার্সিটিতে যেন স্টুডেন্ট এবং টিচারদের মধ্যে প্রফেশনাল সম্পর্কের বাইরেও বন্ধুত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক তৈরি হয় তার ব্যবস্থা নেওয়া।"
 

Leave a comment