আর.এ.জাবেদ :ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের ভূঁইয়া হাট বাজারে দোকানঘর দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে করেছে শিবপুর গ্রামে মৃত আলী আহমেদ এর পুত্র প্রবাসী আবুল কালাম।
ড. ইউনূস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
এস আলম পরিবারের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
নোয়াখালীতে সেনাবাহিনীর ভুয়া ক্যাপ্টেনসহ আটক ২
রবিবার ( ২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফেনীর একটি রেষ্টুরেন্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
ফেনীর ফাজিলপুর ইউনিয়নের পূর্ব শিবপুর গ্রামের রেয়াজ উদ্দিন ভূঁঞার হাটে আমার খরিদা মালিকানা দখলীয় ৪ টি দোকান বিবাদী ১) মাঈন উদ্দিন ভূঁঞা, ২) মহিউদ্দিন মিন্টু, উভয় পিতা- আমিনুল হক ভূঁঞা, ৩) জাকিরুল হক ভূঁঞা, ৪) জিয়াউল হক ভূঁঞা, উভয় পিতা- কামাল উদ্দিন খোকা, ৫) শাহীন, ৬) শাকিল, উভয় পিতা- মৃত বাচ্চু মিয়া, ৭) মোঃ মুসা, ৮) জয়নাল আবেদীন, উভয় পিতা- খায়েজ আহাম্মদ, ৯) বেলাল, পিতা- নূর আহাম্মদ, ১০) মনির, পিতা- শেখ আহাম্মদ, ১১) ফারুক, পিতা- পেয়ার আহাম্মদ, ১২) শাহাবুদ্দিন, পিতা- নাছির উদ্দিনগণ জোর পূর্বক দীর্ঘ ৪/৫ বছর যাবৎ দখল করে রেখেছে।
ফেনী সদর উপজেলাধীন ১২৪ নং পূর্ব শিবপুর মৌজার সি এস ২৬৬ নং খতিয়ানের ১০৩১ দাগ ০৭ শতক ভিটি ভূমি। সি এস মূলে মালিক আব্দুল গণি। আব্দুল গণির মৃত্যুতে ওয়ারিশ সূত্রে শেখ আহাম্মদ মালিক দখলকার ছিলেন। এম আর ২৮৭ নং খতিয়ানে শেখ আহাম্মদের নামে রেকর্ড ভুক্ত হয়। শেখ আহাম্মদের মৃত্যুতে ওয়ারিশসূত্রে নাছির উদ্দিন মালিক দখলকার ছিলেন।
বর্ণিত নাছির উদ্দিন হইতে বিগত ০২/০৭/১৯৯৩ ইং তারিখে ফেনী অফিসে রেজিঃ কৃত ৫০৭১ নং ছাপকবলা মূলে ৩.৫০ শতক ভূমি আমি খরিদ সূত্রে মালিক দখলকার হই। উক্ত ৩.৫০ শতক হইতে ১ শতক ভূমি ১) নূর আহাম্মদ, ২) ডাঃ হারুনের নিকট ০৩/০২/১৯৯৪ ইং তারিখে ৫১২ নং রেজিঃকৃত দলিলে হস্তান্তর করি।
বাকী ২.৫০ শতক ভূমিতে আমি ২ টি দোকান গৃহ নির্মাণ করিয়া আমিনুল হক এর নিকট ভাড়া দিলে বর্ণিত আমিনুল হক ২০১৫ সাল পর্যন্ত আমাকে নিয়মিত ভাড়া প্রদান করিতেন।
আমি পেশাগত কারণে প্রবাসে থাকায় জরীপ চলাকালীন সময়ে মাঠন্তরে সরেজমীন দখল মোতাবেক জরীপ কর্মচারী গণ আমার নামে মাঠ জরীপী ৯২৮ নং খতিয়ানে বি এস দাগ ১২১৩ ও ১২১৫ নং শ্রেনী দোকান স্বরুপে ৩ শতক ভূমি রেকর্ড করেন। পরবর্তীতে আমি জীবিকার তাগীদে প্রবাসে থাকার সুযোগে প্রতিপক্ষগণ অসাধু জরীপ কর্মকর্তার মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে আমার নামীয় খতিয়ান বাতিল করে সম্পূর্ণ বিনা কাগজে তাহাদের নামে বি এস চূড়ান্ত খতিয়ান রেকর্ড করেন।
২০১৫ সালে সরকারী রাস্তা ও ব্রীজ নির্মাণের কাজের জন্য আমার দোকানগুলো ভাঙ্গা হয়। পরবর্তীতে আমি সৌদী আরব থেকে বাড়ীতে আসিয়া পুনরায় ৪ টি দোকান ঘর নির্মাণ করি। যাহা বিল্ডিং ঘর হয়। আমার মেয়ের অসুস্থতার চিকিৎসা করার জন্য আমি ঢাকাতে বাসা ভাড়া করে বসবাস করি। দুর্ভাগ্যবশত ২০২০ সালে আমার মেয়ে মারা যায়। এই সুযোগে প্রতিপক্ষগণ আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী হওয়ায় আমার দোকানে তালা ভাঙ্গিয়া জোর পূর্বক প্রবেশ করে আমার দোকান জোর দখল করে নেয়।
প্রতিপক্ষগণকে আমি স্থানীয়ভাকে জিজ্ঞাসা করিলে তাহারা শুধুমাত্র বি এস মূলে মালিকানা দাবী করে এবং গায়ের জোরে আমার নির্মাণকৃত দোকান এবং মালিকানা ভূমি জবর দখল করে রেখেছে। আমি বাজারে গেলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী দারা আমাকে গাল মন্দ, হুমকি ধমকি দিয়া ভয় ভীতি দেখায়।
অত্র বিষয়ে আমি আমার মালিকানা কাগজপত্র নিয়া প্রতিপক্ষগণের বি এস খতিয়ানের বিরুদ্ধে মাননীয় ফেনী সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলা নং ৩৩৮/২০২৩ ইং। যাহা বর্তমানে চলমান আছে।
প্রতিপক্ষগণ আমার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিচ ৭০১/২০২৩ দায়ের করিলে প্রতিপক্ষ পরাজিত হয়। সেই মামলায় বিবাদীগণ পরাজীত হলেও আমার দোকানঘর বুঝিয়ে দিচ্ছে না। উল্টো নানাভাবে আমাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে দোকান দখলে নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত।