Dhaka, বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪

যেভাবে হলেন কেয়ারটেকার থেকে সংসদ সদস্য মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৩ অক্টোবর, ২০২৪, ০৯:২১ পিএম
Bangla Today News

জাতীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় হুইপ  সাবেক মাহবুব আরা বেগম গিনি এবং তার ভাই টুটুল  বঙ্গবন্ধুর ৩২ নাম্বার বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন,   সেই সুবাদে আওয়ামী লীগের নেত্রী   সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে  ধীরে ধীরে আত্মীয়তার পরিচয়ে  পরিচিত হন।

তিনি রান্না ও  পারিবারিক কাজকর্মের বিনিময়ে সুযোগ সুবিধা অর্জন করেন মাহবুবা আরা বেগম গিনি  শেই সুবাদে   তাকে এমপি নির্বাচিত করায় সাহায্য করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,মাহবুব আরা বেগম গিনি  গাইবান্ধা সদর দুই আসন থেকে  আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচন করে উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা  কাজ আত্মসাৎ করেন। বেশিরভাগ সময় ঢাকায় থাকলেও  তার ভাতিজা আহসানুল হাবিব রাজিব , ও সহযোগী মৃদুল মোস্তাফিজুর রহমান ঝন্টু  গাইবান্ধার কাজ সামলাতেন ,ঝন্টু হ্যান্ড ব্যাগ   সামলাতে ও কাজ বহন করতেন, ২০১৩ সাল থেকে  গাইবান্ধা সদর উপজেলার ২২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়  নিয়োগের ক্ষেত্রে এমপির অনুমতি ছাড়া কিছুই হত না , ফলে প্রতিটি কাজের বিনিময়ে  পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া হতো । এর মাধ্যমে এমপির ভাতিজা রাজিব ও ঝন্টু কোটি  কোটি টাকা কামিয়ে নিত, এক কৌশলী জানান,  রাজিব 100 কোটি টাকার কাজ করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো , গাইবান্ধা থেকে তালতলা কাউন্সিল বাজার হয়ে সুন্দরগঞ্জ পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাদের কাজ   এমপি  গিনি কখনো টাকার কাছে যেতেন না , কিন্তু নিয়োগে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিতো,  জুলাই  বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে  রাজিব ও গিনির বাড়ি  ভাঙচুর করেন।

তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও করা হয়   ব্যাগ বহনকারী ঝন্টু, গাইবান্ধা শহরের চারতলা বাড়ি করেছেন ও ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা , অবশেষে কেয়ারটেকার সংসদ সদস্য মাহবুবার আরা বেগম  গিনি,  অবশেষে জানা গেল সাবেক হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি কোন মামলায় গ্রেফতার ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রবিউস সানি শিপু হত্যাচেষ্টা মামলায় গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) তাকে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর মজিবর রহমান ভূইয়া তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া সুলতানা তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Leave a comment