গাইবান্ধার সদর উপজেলায় সড়কের পাশের খাদে পড়ে থাকা মোস্তাক আলী নামে এক ইউপি সদস্যের (মেম্বার) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে গাইবান্ধা-দাড়িয়াপুর সড়কের কইমারা ব্রিজের অদূরে একটি ইটভাটা সংলগ্ন সড়কের খাদের পানিতে মোটরসাইকেলসহ তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
মামলায় নাম থাকলেই গণহারে গ্রেপ্তার নয়: আইজিপি
শাপলা চত্বরে হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ হেফাজতের
বাংলাদেশকে দুর্বল নতজানু শক্তিহীন ভাবার অবকাশ নেই: আইন উপদেষ্টা
মোস্তাক আলী (৪৮) সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য ছিলেন। তিনি উত্তর আনালের তাড়ি গ্রামের মৃত্যু সেরাজুল ইসলামের ছেলে।
স্বজনরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে দাড়িয়াপুর বাজারে যান মোস্তাক আলী। এরপর গভীর রাত হলেও তিনি বাড়ি ফেরেনি। পরে ভোররাতে পাকা সড়কের পাশে মোটরসাইকেলসহ তাকে পড়ে থাকার খবর পান। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসক ও পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাসুম হক্কানি জানান, মোস্তাক আলী মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে জুয়েল মিয়া ও সোহেল রানা নামে দুইজন ছিলেন। তাদের মধ্যে আহত জুয়েলকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে মোস্তাক আলীর মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক। কেউ বলছে এক্সিডেন্ট করে তার মৃত্যু হয়েছে। আবার কেউ বলছে শত্রুতার জেরে কেউ তাকে হত্যা করেছে। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে সকালে তার মৃত্যুর ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে কি কারণে তার মত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।