খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষক ডরমেটোরিতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন শিক্ষকরা।
মামলায় নাম থাকলেই গ্রেপ্তার হবে এমনটা নয়: ডিএমপি কমিশনার
শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন বই কবে পৌঁছাতে পারে, জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা
কুমিল্লা দেবীদ্ধারে বাস-সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আপন ভাই বোনের মৃত্যু
পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অভাব, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট, সুপেয় পানির অভাব, সাপ ও নানা কীটপতঙ্গের উপদ্রব এবং স্যাঁতসেঁতে পরিবেশসহ নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে ডরমেটরিতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন শিক্ষকরা।
স্বল্প পরিসরের দুটি ডরমেটরি থাকলেও পুরুষ এবং মহিলা শিক্ষকদের সেখানে ভাগাভাগি করে থাকতে হয়। ডরমেটরি দুটির জন্য নেই কোন নিরাপত্তা রক্ষী।
সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সাথে কথা বলে এসব অভিযোগের কথা জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রথমে এটি প্রফেসরদের থাকার স্থান ছিল। পরবর্তীতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের এক্সটেনশন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ২০২০ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ব্যাচেলর শিক্ষকদের জন্য এটি ডরমেটরি হিসেবে চালু হয়। দুই তলা বিশিষ্ট ডরমেটরি দুটিতে মোট ২৪ জন শিক্ষকের জন্য থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। আগে মহিলা শিক্ষক ছিল আটজন। এখন ছয়জন আছেন। পুরুষ শিক্ষক আছেন ১২ জন। যেখানে কমপক্ষে ১০০ জন শিক্ষকের জন্য এই আবাসন ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে।
ডরমেটরিগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় , ভবন দুটির বহিরাংশের রঙ বিবর্ণ হয়ে গেছে এবং অনেক স্থানে রঙ খসে পড়েছে। ভবনের ভেতর এবং বাইরের অংশ অপরিচ্ছন্ন। পরিচ্ছন্নতার জন্য নির্ধারিত কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। এছাড়া অধিকাংশ কক্ষের বৈদ্যুতিক পয়েন্টগুলো ত্রুটিপূর্ণ।
নেই সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা। এছাড়া ডরমেটরিগুলো ঘাস ও আগাছায় ভরা থাকায় সাপের উপদ্রব সহ নানা কীটপতঙ্গের উৎপাত যেন নিত্যসঙ্গী।
ডরমেটরিতে অবস্থানরত এক শিক্ষক আমাদের বলেন ,"ডরমেটরি দুটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে শিক্ষকদের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হলেও ম্যানেজমেন্টের কেউ না থাকায় পরিষ্কার পানি, খাবারের কোন ব্যবস্থা নাই। রোড কনস্ট্রাকশনের কাজও হয় নাই। যাতায়াতের রাস্তায় পানি উঠে যায়। যার মধ্যে প্রচুর সাপ থাকে। সাপ অনেক সময় ঘরে ঢুকে যায়। বারবার আবেদন করার পরও সংস্কারের কোনো কাজ করা হয় নাই। ইন্টারনেটের সংযোগ পাওয়া গেছে তাও আবেদন করার দুই বছর পর। নিরাপত্তা জনিত সমস্যা রয়েছে। কোন গেটম্যান নেই। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায়। যদি প্রধান দরজা হয়ে কেউ না ঢুকে অন্য কোথাও দিয়ে প্রবেশ করে তবে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোতে ধরা পড়ে না।"
রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের জানান, "এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী আমার থেকে আরো ভালো বলতে পারবেন। প্রধান প্রকৌশলী ডরমেটরিতে থাকা শিক্ষকদের সাথে ডরমেটরির সংস্কারের ব্যাপারে যোগাযোগ করেন। ডরমেটরির সংস্কারের কাজ করার সময় তাদের ডরমেটরিটি খালি করে দিতে বলা হলে, শিক্ষকরা দাবি করেন, যতদিন ধরে ডরমেটরির কাজ চলবে ততদিন তাদের অন্যত্র থাকার সকল ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করে দিতে হবে।এখন তারা অন্যত্র থাকলে সেই ঘরভাড়াও কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করবে? তাই সংস্কারের কাজ আর আগায়নি। তারা আমাকে ডরমেটরি দুটি খালি করে দিলে আমি সংস্কার করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।”