সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাৎসব। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের মৃৎশিল্পিরা প্রতিমা তৈরিতে রং-তুলরি আঁচড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন । কাদামাটি, খড়,বাঁশ, কাঠ ও সুতা, দিয়ে দেবী দুর্গার নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় তৈরি করছেন প্রতিমা। দেবীকে দৃষ্টিনন্দন রূপ দিতে দিন রাত রং তুলির মাধ্যমে হাতের নিখুঁত কারুকার্যের কাজ করে যাচ্ছেন মৃৎশিল্পরা।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে Youth Ending Hunger Bangladesh এর আয়োজনে তিনদিন ব্যাপী যুব নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
জ্বালানি খাত সংস্কারে এডিবির কাছে ১ বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম ওয়াসা: গ্রাহক পাচ্ছে না পানি, দিচ্ছে না বিল।
ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জের প্রতিমা তৈরীর অবকাঠামোর কাজ প্রায় শেষের দিকে । এখন দেবী দুর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দিতে দিনরাত রং তুলির কাজ করে যাচ্ছেন কারিগররা। দুর্গা,স্বরসতী,লক্ষী,কার্তিক,গনেশ ও অসুরকে রুপ চর্চায় সাজিয়ে তুলছেন কারিগররা।
তবে দেবী দুর্গাকে নানা রঙ্গে রাঙ্গাতে প্রতিমা তৈরীর উপকরণ এর দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায় ন্যায্য মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানালেন প্রতিমা তৈরীর কারিগর শ্রী ওকিল পোদ্দার।
তিনি আরো জানান, দেশের সরকার পরিবর্তন হওয়ায় আমাদের এলাকায় বিশৃংখলার সৃষ্টি হলে আমরা প্রতিমা তৈরি করতে সাহস পাইনি। এতে আমরা অনেক অর্ডার ক্যানসেল করে দিয়েছি। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ২০টি প্রতিবার অর্ডার পেয়েছি সেই কাজ বর্তমান চলমান আছে। প্রতিটি প্রতিমা সেট নিম্নে ২০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বছরে একবার প্রতিমা তৈরি করে যে লাভ হয় তাই দিয়ে আমাদের টানাপড়া সংসার চলে। লাভ লস এর মধ্য দিয়েও বাপ দাদার ব্যবসা ধরে রাখার চেষ্টা করছি। তবে গতবারের চেয়ে এবারে প্রতিমা তৈরীর চাহিদা অনেকটাই কম।
সিরাজগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ কুমার কানু জানান , এবারে জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ৪৯৯ টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাৎসব পালন করা হবে। আগামী ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবং ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হবে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) জানান, শারদীয় দুর্গাপুজায় কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । প্রতিটি পূজা মন্ডপে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় স্থানীয় প্রশাসন, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক পূজা মন্ডপে নজরদারি রাখবে। পাশাপাশি সবকটি পূজা মন্ডপে গোয়েন্দা নজরে থাকবে ।
ছবির ক্যাপশনঃ সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট পাল পাড়ায় দিনরাত পরিশ্রমে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজে ব্যস্ত সময় পার করার ছবি।
আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ।