রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বঙ্গভবন এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পালন করা হয়। বঙ্গভবনের চারপাশে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।
Swordfish weighing 10 maunds in the net
শহিদ গোলাম নাফিজের দেহ বহন করা রিকশা সংরক্ষিত হচ্ছে গণভবনের জুলাই স্মৃতি জাদুঘরে
3 severely injured in Dhaka-Mymensingh hwy crash, driver blames tire failure
সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির ব্যানারে আসা বিক্ষুব্ধ জনতা বঙ্গভবনের সামনের মোড়ে বিক্ষোভ করছে। এর পাশে আরেকটি গ্রুপকে দেখা গেছে 'রক্তিম জুলাই-২০২৪' ব্যানারে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করতে।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর থেকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি একটি মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যায়। তারা হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশের ব্যারিকেড পেরিয়ে বঙ্গভবনের দিকে রওনা হন। তারা বঙ্গভবনের সামনের ফাঁকা জায়গায় থাকতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সমাধান না পেয়ে বঙ্গভবন মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা স্থানীয় থানা পুলিশকে সহযোগিতা করছে।
মতিঝিল বিভাগের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শাহরিয়ার আলী বলেন, আমরা সতর্ক আছি। কিছু মানুষ প্রতিবাদ করছিল, তাদের থামানো হয়নি। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার মুখে দেশত্যাগ করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদায়ের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।
সম্প্রতি একটি পত্রিকার সম্পাদককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন বলে শুনেছেন, তবে এ বিষয়ে তার কাছে কোনো প্রামাণ্য প্রমাণ বা নথি নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, অনেক চেষ্টা করেও (পদত্যাগপত্র সংগ্রহে) ব্যর্থ হয়েছি। তার হয়তো সময় নেই।
এরপর যারা সরকার উৎখাতের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারা আবারও রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হন।