সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী নিজেদের রক্ষা করতে আত্মগোপনে চলে গেছেন। কেউ আছেন দেশে, কেউ দেশের বাইরে। অনেকে আবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ অবস্থায় দলের কর্মী-সমর্থক ও ছোট ছোট নেতারা পড়েছেন বেকায়দায়। হামলা মামলার ভয়ে তারা বাড়িঘরে থাকতে পারছেন না। বাইরে থাকা অনেকে যোগাযোগ রাখতে পারছেন না পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে। কেউ কেউ আছেন আর্থিক সংকটে।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে আওয়ামী লীগ। অজ্ঞাত স্থান থেকে গত বুধবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে দলটি পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে লিখেছে, পুলিশের কর্মকর্তারা আগে নিজেদের সহকর্মীদের হত্যার বিচার চান যারা পুলিশ সদস্যদের হত্যা করেছে, ঝুলিয়ে মেরেছে তাদের গ্রেফতার করুন।
The king of Bhutan is in Dhaka on a four-day visit
হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করল বিসিবি
(SHAKIB AL HASAN) A PLAYER WITH SO MANY ACHIEVEMENTS FOR HIS COUNTRY, SINCE HE WANTS TO FINISH HIS TEST CAREER IN BANGLADESH, I HOPE HE GETS THAT FAREWELL.
পরবর্তীতে আজ বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে দলটি পুলিশ সদস্যদের সর্তক করে জানিয়েছে, আপনাদের ওসি, এসি, ডিসি আর এস পি স্যাররা অবৈধ সরকার ও বিএনপি জামাতকে খুশি করতে আপনাদেরকে দিয়েই ভুয়া মামলা দায়ের করাচ্ছে। এই মামলাগুলোর দায়ভার কিন্তু আপনাদেরকেই নিতে হবে। মানবাধিকার সংস্থায় প্রতিটি মামলার তথ্য পাঠানো হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ৫ আগস্টের পর ৯৯% মামলাই ভুয়া। তাই অন্যায় আদেশ আপনারা পালন করার আগে দ্বিতীয়বার চিন্তা করুন।
এর আগে, টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে হেলিকপ্টারযোগে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও কেন্দ্রীয় অনেক নেতার খোঁজ এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কেউ কেউ হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন।
এত বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন দলকে শক্তিশালী করা যায়নি, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। অনেকে আবার দলের সিনিয়র নেতাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতার ভাষ্যমতে, রাজনীতিতে উত্থান-পতন রয়েছে। এক দল সারা জীবন ক্ষমতায় থাকবে না। আমরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলাম। এখন ক্ষমতায় নেই। দেশের যে পরিস্থিতি, সেজন্য অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে নেতাকর্মীরা আবার মাঠে নামবেন। এখন নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করা উচিত নয়। নিজেদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে।