সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত সকল স্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনা সভায় শাইখ আহমদুল্লাহকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশের বাইরে থাকায় তিনি যোগ দিতে পারবেন না। তবে শেখ আহমাদুল্লাহর লিখিত প্রস্তাব নিয়ে একজন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে জানান তিনি।
তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য দিয়ে তার প্রত্যাশা ও সুপারিশ ব্যক্ত করেছেন।
শ্রীপুরে মোবাইল ফোনে প্রেম পরকীয়া প্রেমিককের সাঙ্গে পালিয়েছে গৃহবধু
বৃহস্পতিবার যেসব এলাকায় ৮ ঘণ্টা থাকবে না গ্যাস
I don't see the logic of agitation against the High Court verdict: Prime Minister
তিনি বলেন, আমরা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধ সম্বলিত সংবিধান প্রত্যাশা করি। যেখানে আমাদের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রতিফলিত হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সংবিধান সংশোধন কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংবিধান সংশোধন নিয়ে সকল স্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনা সভায় আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশের বাইরে থাকার কারণে সভায় উপস্থিত হতে না পারলেও আমার প্রতিনিধি লিখিত প্রস্তাব নিয়ে উপস্থিত থাকবেন, ইনশাআল্লাহ। জাতীয় জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তে সংশ্লিষ্ট মহল বিচক্ষণতা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দেবেন বলে আশা করি।
শেখ আহমদুল্লাহ আরও বলেন, সংবিধান সংশোধনে গঠিত কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কমিশনের সদস্যরা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের মতামত ও পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন। আমরা তাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
তিনি বলেন, আশা করি সংবিধান সংশোধনে তারা কিছু বিষয় বিবেচনা করবেন।
1. সংবিধানে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটাতে হবে। সংবিধানে এ ধরনের কোনো ধারা বা উপধারা যুক্ত করা যাবে না এবং থাকলে তা অপসারণ করা উচিত, যা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থী।
2. সংবিধানের শুরুতে, "ঈশ্বরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস প্রজাতন্ত্রের সকল কাজের ভিত্তি হবে" বাক্যটি পুনরায় সন্নিবেশ করা উচিত, যা পূর্ববর্তী সরকার সংবিধান থেকে বাদ দিয়েছিল।
3. সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র মুছে ফেলতে হবে। কারণ এটা এদেশের মানুষের ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের পরিপন্থী।
4. শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করতে হবে। এটা সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক করা উচিত।
আশাকরি, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো বিবেচনা দেখাবে।