সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান বা দপ্তরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৩৪৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী। কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা যাচাই-বাছাই করছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কারা সরকারি চাকরি বাগিয়েছেন তা জনগণকে জানাতে শিগগিরই এই তালিকা অ্যাপসের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তাঁদের মধ্যে কেউ ‘ভুয়া সনদে’ চাকরি নিয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট অ্যাপসে সে বিষয়ে অভিযোগ করার সুযোগ রাখা হবে।
সিরাজগঞ্জে বিনামূল্যে কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন আনসার-ভিডিপি
বাংলাদেশের জন্য সহসা পর্যটক ভিসা চালু করছে না ভারত
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
জাল সনদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের খুঁজে বের করতেই এ তালিকা করা হচ্ছে বলে সূত্র বলছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের তালিকা পেয়েছি। ৪০ হাজারের বেশি নামের তালিকা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করছেন। যাচাই শেষে এগুলো শিগগিরই মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হতে পারে, যাতে যে কেউ এসব সনদের বিষয়ে অভিযোগ করতে পারেন। এ জন্য অভিযোগ করার সুযোগ রাখার চিন্তা-ভাবনা চলছে।’
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অন্তর্বতীকালীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম গত ১৪ আগস্ট দায়িত্ব নেন। সেদিনই তিনি মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সভায় স্বাধীনতার পর থেকে মুক্তযোদ্ধা কোটার আওতায় গ্রেড অনুযায়ী কতজন সরকারি চাকরি পেয়েছেন- সেই তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দেন। যার আলোকে তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হয়।
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে সনদ দেওয়া হয়েছে। সেই সনদ দিয়ে তারা চাকরি নিয়েছেন। অর্ন্তর্বতীকালীন সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখার পদক্ষেপ নিয়েছে।