জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান , ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী
ড. ইউনূস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
এস আলম পরিবারের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
নোয়াখালীতে সেনাবাহিনীর ভুয়া ক্যাপ্টেনসহ আটক ২
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেছেন, ক্যাডার বৈষম্য আমাদের বিষয়বস্তু না বলে আমরা তো চোখ, কান বন্ধ করে থাকতে পারি না। এই বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। আমরা সরকারের কাছে কিছু মতামত দিতে পারি। ক্ষমতা আমার না, ক্ষমতা রাষ্ট্রের।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভা শেষে ‘এই কমিশন ক্যাডার বৈষম্য নিয়ে কাজ করবে নাকি জনপ্রশাসনকে জনবান্ধব করতে কাজ করবে’-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল মুয়ীদ বলেন, পুলিশের যে ক্ষমতা সেটাও আমার একার না, এটাও রাষ্ট্রের ক্ষমতা। এটার উদ্দেশ্য দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন। সবারই সংশোধন এবং পরিবর্তন জরুরি কারণ এবারের বিপ্লবে সেই রকম কোনো কিছু হয়নি। কিন্তু এর পরে যদি কোনো বিপ্লব হয় তাহলে সেটা আরও ভয়াবহ হবে। মানুষ কিন্তু আগের মতো নেই। কোনো কিছু ঘটলে আর বসে থাকে না, মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেÑ যেটা আগে ছিল না। মানুষ যাতে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয় আমাদের সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
‘অতীতে দেখা গেছে, যে দল ক্ষমতায় থেকেছে তাদের পছন্দমত অনুগত অফিসাররা পদোন্নতি বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে, যারা সরকারবিরোধী মনোভাবাপন্ন হিসেবে বিবেচিত তারা পদ বঞ্চিত হয়েছে’- এমন তথ্য উপস্থাপন করে জনপ্রশাসনে বৈষম্য নিরসন এবং ইনসাফ কায়েমের ক্ষেত্রে এই কমিশন কী কাজ করবে- এ প্রশ্ন করা হলে জবাবে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, আমি বিভিন্ন সরকারের অধীনে কাজ করেছি। আওয়ামী লীগ, বিএনপির অধীনে কাজ করেছি। আমি তো কোনো ব্যাপারে আপোষ করিনি, আমার তো কোনো সমস্যা হয়নি। আমি সচিব হয়েছি। এমবিবিএস ও ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও বিসিএসে যেতে পারে। তাকে তো নিষেধ করা হয়নি। অনেকেই বিসিএস প্রশাসনে যাচ্ছে।
এসময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবংকমিশনের সদস্য ড. মো. মোখলেস উর রহমান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. সৈয়দা শাহীনা সোবহান এবং মেহেদী হাসান, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হূমায়ুন কবীর এবং জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার উপস্থিত ছিলেন।