Dhaka, শুক্রবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২৪

বোয়ালখালী বাজার ব্যবসায়ী নির্বাচন স্থগিত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৫৯ এএম
Bangla Today News

দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালী বাজার ব্যবসায়ী কমিটির নির্বাচন ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বাজার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রয়েছে গঠনতন্ত্র ও নিয়মবহির্ভূত বাজার নির্বাচন পরিচালনা করা। বাজার নির্বাচন তফসিল পরিবর্তীতে গিয়ে ভোটের আগের দিন ৩৪ জন ভোটার তৈরি করা হয়।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় দীঘিনালা অস্থায়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন স্থগিত চেয়েছেন বোয়ালখালী  বাজার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাফর আহমেদ। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে  বলেন, ১৯৮৫ সালে ও ১৯৯৫ সালে পূর্বের বোয়ালখালী পুরাতন বাজার আগুনে পুড়ে যায়। পরপরই দু'বার আগুনে পুড়ে গেলে। ১৯৯৭ সালে পুরাতন বোয়ালখালী বাজার স্থানান্তর করে বোয়ালখালী নতুন বাজার নামে বাজারটি প্রতিষ্ঠা করি। এ-ই বাজারে ২৩ টি সরকারি খাস জায়গায় বন্দোবস্তী নিয়ে বসবাস করেছিলো বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ। তাদের অন্যত্র জায়গা কিনে বসতঘরসহ তাদের পূর্ণবাসন করি৷ পরবর্তী এই বাজারে মাটি কেটে ৫০ টি দোকান দিয়ে বাজার কার্যক্রম শুরু করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০০৪ সালে বোয়ালখালী বাজারে জসিমের নেত্বত্বে আমাকে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ হতে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে অপসারণ করে। অপসারনের পর দীর্ঘ ২০ বছর বাজার দায়িত্বে নিয়ে বিভিন্ন প্লট দখলে নিয়ে পরিচালনা করে আসছে। 

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, বাজার প্রতিষ্ঠার পর এই বাজার উচ্ছেদ করার জন্য জেলা প্রশাসক কতৃক উচ্ছেদ করার নির্দেশ আসলে। সাবেক সংসদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে চেয়ারম্যান ওয়াদুদ ভুইয়া,  তিনি আমাকে সবসময় দিকনিদের্শনা দিয়েছেন। ২০০৫ সনে বাজার উচ্ছেদের আদেশ হলে তখন তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালে উক্ত উচ্ছেদের আদেশ স্থগিত করে। বাজার কার্যক্রম গতিশীল রাখেন।

এসময় আরো দাবী করে বলা হয়, জসিম বাজার পুরো দখল করার জন্য আমাকে অনেকগুলো মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করে। আমার তৈরী করা বাজারের মাঠ দেখে জসিমের মাথা খারাপ হয়ে যায়। বাজার ফান্ড থেকে নামে বেনামে অন্যায়ভাবে বরাদ্দ নেয়। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে আমি দীঘিনালা এলাকায় না থাকায় বাজার ফান্ডে আমার নামে কোন প্লট নাই। তবে আমি ২০২৩ সনে একটি ৭৫ নং প্লট কিনেছিলাম। আমি আঞ্চলিক দলিল দাখিল করেছিলাম। এই রকম আঞ্চলিক দলিলে অনেকে ভোটার হয়েছেন তাহা সুষ্ঠু তদন্ত করলেই বের হয়ে যাবে। দীর্ঘ ১৩টি বৎসর যেই বাজারের জন্য অমানবিক পরিশ্রম করলাম যার প্রমাণ দীঘিনালা আপামর জনগণ স্বাক্ষী আছেন। আমার কথাগুলো যদি সত্য হয় সকলের বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন বোয়ালখালী নতুন বাজারের এই আনন্দঘন নির্বাচনে সাথী হতে পারি না? এমতাবস্থায়, উক্ত নির্বাচন স্থগিত করে নতুন ভোটার প্রণয়ন তথা পুনরায় তফসীল ঘোষণা করে পুন:নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আপনাদের সকলের নিকট সহযোগিতা কামনা করছি।

দীঘিনালা ও বোয়ালখালী বাজার চৌধুরী ও বোয়ালখালী নতুন বাজার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনের জেসমিন চাকমা বলেন। বোয়ালখালী বাজার প্রতিষ্ঠিতা জাফর আহমেদ ভোটার হওয়ার জন্য যে, নথিপত্র দিয়েছে সেগুলো অস্পষ্ট। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে সদস্য করা হয়নি।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বোয়ালখালী বাজার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক বাজার ব্যাবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাফর আহমেদ। ভোটার হওয়ার আবেদন নথিপত্র সঠিক না হওয়া ভোটার করা যায় নি। নির্বাচন তফসিল পরবর্তীতে ভোটার হয়েছে। তবে নিয়ম মেনে করা হয়েছে।

Leave a comment