চাইথোয়াইমং মারমা রাজস্থলী
(রাঙ্গামাটি) প্রতিবেদক:- রাংগামাটি জেলা অপরুপ সৌন্দর্য পাহাড়ের কোলে হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশি। ঝর্ণার কলতান। আবার পাহাড়ের চূড়ায় যেনো মেঘের খেলা। সবমিলিয়ে কেমন লাগে? হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে না? ওহ! দারুন এক প্রশান্তি মিলবে সেখানে। বলছি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা রাঙামাটির কথা। কাপ্তাই লেকের বুকে ভেসে থাকা ছোট্ট এই জেলা শহর আর আশপাশে সর্বত্রই রয়েছে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় স্থান। ছুটি কাটানোর স্থানটি যদি এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা হয়, ভালো না লেগে উপায় আছে ! এখানকার জায়গাগুলো বছরের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে সাজে।তবে বর্ষার সাজ একেবারেই অন্যরকম। আর শীতে আরেক রকম। শহরের কালো ধোঁয়া থেকে দূরে চলে গিয়ে প্রশান্তির নিঃশ্বাস নিতে ঘুরে আসতে পারেন রাঙ্গামাটির এই এলাকায়। এক - দুই রাত্রির জন্য।
ড. ইউনূস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
এস আলম পরিবারের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
নোয়াখালীতে সেনাবাহিনীর ভুয়া ক্যাপ্টেনসহ আটক ২
ইকো-টুরিজমের ধারণা নিয়ে গড়ে ওঠা বেসরকারি পর্যটনকেন্দ্র টং ইকো রিসোর্ট । কাপ্তাই জটিঘাট থেকে আসামবস্তি সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে তিন কিলোমিটার দূরে কাপ্তাই হ্রদের পাশে গড়ে উঠেছে অনেক রিসোর্ট ও ঘরবাড়ি । তেমনি গড়ে উঠেছে সদর উপজেলায় মকবান ইউনিয়নের কামিলা ছড়ি নামক স্থানে আরেকটি টং ইকো রিসোর্ট। সেটি রাইন্যা টুগুন - এর পাশে ।
রিসোর্টের মালিক রনজিত তঞ্চঙ্গ্যা জানান, নিজ উদ্যোগে করা তার কর্ণফুলি নামে ১ টি ডরমিটরিসহ মোট ৬ টি কটেজ রয়েছে। ১০ একর জায়গায় মিশ্র ফলজ বাগানের মধ্যে আলাদা আলাদা জায়গায় পাহাড়ি ডিজাইনে তৈরি করা কে না থাকতে চাইবে এই রিসোর্ট গুলোতে । সরেজমিনে দেখতে গিয়ে দেখা যায়, রাইনখ্যাং, কাচালং,সাঙ্গু, মাতামুহুরী নামে ভিন্ন ভিন্ন নাম দেওয়া রয়েছে।রয়েছে চারদিকে ফুলের বাগানও। যার সর্ব্বচ্চ মূল্য প্রতিরাত ২৫০০ থেকে টাকা। কমেও রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে প্রায় ৪০ জনের তাবুর ব্যবস্থা। রয়েছে পিকনিক বা পাটি করার জন্য নিদিষ্ট মাঠ। কয়েকজন কর্মচারীর দ্বারা পরিচালিত দেখতে অতি সুন্দর ও পরিষ্কার- পরিছন্ন। অসাধারণ এই পর্যটন কেন্দ্রে পরিবার–পরিজন নিয়ে কাটাতে পারেন একটি দিন ও রাত।খাবারের তালিকায় রয়েছে ব্যম্বু চিকেন সহ নানা রকম মুখরোচক খাবার। রয়েছে নানা রকম ফলের বাহারও। পুরো দশ একর জায়গা জুরে রয়েছে মিশ্রফলের বাগান। এখানে সিজন অনুসারে কমদামে ফরমালিন মুক্ত মৌসুমী ফল খেতে কার না মন চায়। রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা খুবই নিরিবিলি । রয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। যাওয়া পথে দেখা মিলবে বন্যহাতি, বানর,বনমোরগ, উড়ন্ত কাঠবিড়ালি এবং শুকর।
কীভাবে যাবেন:-ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটির এবং কাপ্তাই উপজেলায় সরাসরি বাস রয়েছে। আবার চিটাগং হয়েও সরাসরি যাওয়া যায়। যে পথেই যান না কেন খরচ হবে ৬৫০ টাকার মধ্যে। বাসে উঠতে পারবেন কল্যাণপুর, কলাবাগান, সায়েদাবাদ থেকে। রাঙ্গামাটি অথবা কাপ্তাই পৌছানোর পর যেতে হবে সিএনজি টেক্সিটে। আবার যেতে পারেন লঞ্চেও মাধ্যমে চলাচল ব্যবস্থা রয়েছে ।