Dhaka, সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

নির্বাচনে প্রার্থী হতে বাধা নেই খালেদা জিয়ার

সিয়াম ইসলাম

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
Bangla Today News

আগামী নির্বাচন যখনই হোক, তাতে প্রার্থী হতে বাধা নেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টে খালাস পাওয়ায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সব বাধা কেটে গেল সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।

 

এর আগে, গত ১১ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর গত ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি বিএনপি চেয়ারপারসনের দুটি সাজাই মওকুফ করেছিলেন। এতে তিনি কারামুক্ত হলেও আইনি লড়াইয়ে সাজামুক্ত হতে আপিল করেন।

 

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ঢাকার জজ আদালত চ্যারিটেবল মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছিলেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার বেগম জিয়া এবং সাজাপ্রাপ্ত অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম খানকে খালাস দেন।

 

সংবিধান অনুযায়ী, ফৌজদারি অপরাধে দুই বছরের বেশি সাজা হলে, মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। এ কারণে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিল হয়। 

 

সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই মামলার একটিতে সাজা স্থগিত, অন্যটিতে খালাস পাওয়া বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশ নিতে আর বাধা নেই। তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা থাকলেও সেগুলোতে সাজা হয়নি। গতকাল তিনি কয়লা খনি মামলা থেকেও অব্যাহতি পেয়েছেন।

 

চ্যারিটেবল মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, কোনো সাক্ষী বলেননি খালেদা জিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলাটি করা হয়েছে।

 

বেগম জিয়ার আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, খালাসের মাধ্যমে তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন।

 

খালাস পাওয়া অন্য দুই ব্যক্তি হলেন প্রয়াত হারিস চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। 













 

Leave a comment