তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় কলকাতা ও দিল্লির ছাত্ররা একাত্মতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনার নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ভারতের এই গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ আমাদের বন্ধু। তবে ভারতের শাসকগোষ্ঠী এবং হিন্দুত্ববাদী শক্তি এ ধরনের গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি চায় না। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থান এবং ছাত্রদের রাজনৈতিক জাগরণকে হুমকি হিসেবে দেখছে।
ফলে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করছে।
আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে সংখ্যালঘু নিপীড়ন টার্ম ব্যবহার করে দিল্লি ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও জাতি-পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা জোর দিয়ে আসছি যে ভারত সরকারকে বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগের দৃষ্টিতে দেখা বন্ধ করতে হবে এবং ন্যায়, ন্যায্যতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে একটি নতুন সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশ হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য পূর্ণ নাগরিকত্বের অধিকার, মর্যাদা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলেই সংখ্যালঘুরা সর্বোচ্চ নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছিল, তবু দিল্লি নিঃশর্তভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল। যদিও ভারত তার নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
শ্রীপুরে উৎসব মুখর পরিবেশে জনাবালী মন্ডল শিক্ষা ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহতের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
কক্সবাজারে সমুদ্র উপকূলে পড়ে থাকা প্লাস্টিক দিয়ে বানানো হলো 'রোবট দানব'
তারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিপীড়নকারী দল আওয়ামী লীগকে আশ্রয় ও সমর্থন দিয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘গণহত্যা ও শিশু হত্যার জন্য দায়ী পলাতক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় ও ধারাবাহিক সহায়তা অব্যাহত রেখে ভারত সরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ণ করার ঝুঁকিতে রয়েছে। ভারতের স্থিতিশীলতা ও অখণ্ডতা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও অখণ্ডতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তা ভুলে গেলে চলবে না।
নাহিদ এও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন বিজেপি বাংলাদেশকে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করার চেষ্টা করছে। এমনটা হলে তা ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে।
বাংলাদেশবিরোধী ও মুসলিমবিরোধী রাজনীতি ভারতের জাতীয় স্বার্থে কাজ করবে না। তাই আমরা ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা, অপপ্রচার বন্ধ করে গণতন্ত্রের প্রতি সম্প্রীতি ও সম্মান বজায় রাখার আহ্বান জানাই।