চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে ভারতের সব গোপন চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তিনি এই দাবি জানান।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এখন উচিত ভারতের সঙ্গে পূর্ববর্তী ফ্যাসিবাদী সরকারের করা সব গোপন চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করা। একই সঙ্গে ভারতের স্বার্থে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত করা, আন্তঃনদীর পানির সুষম বণ্টনের দাবিতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, ফেলানীসহ সীমান্তে নিহতদের হত্যার বিচারের ব্যবস্থা করা এবং ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জনকল্যাণমূলক নীতিগত অবস্থান গ্রহণ করা।
চবির চাঁদপুর জেলা স্টুডেন্টস' এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ইলিয়াস-রুপক
মানিকগঞ্জ শিবালয়ে বাড়াদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য চাইলে দেখালেন নানান অজুহাত।
প্রথমবার বাংলাদেশে আসছেন নাসার প্রধান মহাকাশচারী, জোসেফ এম আকাবা
এর আগে আরেক স্ট্যাটাসে ভারতের সঙ্গে আর কোনো অন্যায্য আপস হবে না বলে মন্তব্য করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে আপস, আত্মসমর্পণ ও নতজানু আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছে। কিন্তু ফলাফল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হতাশাজনক—বিশ্বাসঘাতকতা, শোষণ এবং আমাদের সার্বভৌম অধিকারের প্রতি অবহেলা।
তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গির। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে, দৃঢ় প্রত্যয় এবং স্পষ্টতার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে। আর কোনো অন্যায্য আপস হবে না। যা ন্যায়সঙ্গতভাবে আমাদের অধিকার, তা দৃঢ়ভাবে রক্ষা করব এবং দাবি করব।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ ভারতের ছায়ায় নয়, বরং আত্মবিশ্বাসী ও সক্ষম অংশীদার হিসেবে অথবা প্রয়োজন হলে, দৃঢ় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়াতে চায়। আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং স্বার্থের প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়, এবং এগুলো রক্ষায় আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’।