সিরিয়া নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বলা হয়েছে, সিরিয়ার পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যাতে একযোগে কাজ করে সেই বিষয়ে জোর দিয়েছেন দুই নেতা।
Bought a 12 crore car for 1.5 crore with duty exemption
গণতন্ত্রকে নির্বাসনে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ: তারেক রহমান
The windfall of remittances reached $720 million in the first week of June
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক যাতে সিরিয়ার রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করে তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সিরিয়ায় যখন তুরস্কের সমর্থিত বিদ্রোহীদের সঙ্গে মার্কিন মদতপুষ্ট বাহিনীর সংঘর্ষ হচ্ছে, তখন এই বৈঠক হলো। কুর্দিদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স মার্কিন জোটের সমর্থন পাচ্ছে। এই বাহিনীর নেতৃত্বে আছে পিপলস প্রোটেকশন গ্রুপ (ওয়াইপিজি)। তুরস্ক মনে করে, ওয়াইপিজি হলো কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে যুক্ত সংগঠন।
তুরস্কে যাওয়ার আগে ব্লিংকেন বলেছেন, “পিকেকে হলো তুরস্কের বিপদের কারণ। তবে একইসঙ্গে আমরা সিরিয়ার ভেতরে বিরোধ এড়াতে চাই। আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকার মসৃণভাবে গঠিত হোক এবং তারা ভালোভাবে কাজ করুক।”
এদিকে বৃহস্পতিবার জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন ব্লিংকেন। সেখানে তারা সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন। দুজনেই সিরিয়াকে সুরক্ষিত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।
ব্লিংকেনের প্রতিশ্রুতি, “এই পরিবর্তনের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র জর্ডান-সহ সিরিয়ার অন্য প্রতিবেশী দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে”। ব্লিংকেন বলেছেন, “সিরিয়া নিয়ে অনেকের সত্যিকারের স্বার্থ আছে। এখন নতুন করে যাতে কোনো সংঘাত না হয়, সেটা দেখা খুবই জরুরি।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের সাম্প্রতিক আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে ব্লিংকেন বলেছেন, “নেতানিয়াহুর মত হলো, সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করা দরকার। সিরিয়ার সেনা যে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র ফেলে রেখে গেছে, সেগুলো যেন ভুল মানুষের হাতে না পড়ে।”
জর্ডানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, জর্ডান সিরিয়ার মানুষের পছন্দকে সম্মান করে। সিরিয়া ও তাদের নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি এটাও বলেছেন, গাজায় সম্পূর্ণ শান্তি আনাটা খুবই জরুরি।”
এই সপ্তাহান্তে আরব ও পশ্চিমা বিম্বের অনেক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্ডানে গিয়ে সিরিয়া নিয়ে আলোচনা করবেন। সৌদি আরব, ইরাক, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আরব লীগের প্রধান শনিবার এই আলোচনায় যোগ দেবেন।
তুরস্ক ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও সেখানে থাকবেন। সিরিয়ার ভবিষ্যৎ ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টি নিয়ে সেখানে কথা হবে।