রংপুরের মিঠাপুকুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. জমশেদ আলী বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিললেও মামলা না নেওয়ার অভিযোগ মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বিক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) উপজেলার রাণীপুকুর ইউনিয়নের আজিতপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে শিশুকে হত্যা করে ভাইয়ের বন্ধুরা
৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে স্কুলে ভর্তি, ফি সর্বোচ্চ ৮ হাজার
আমার সঙ্গে খেলার চেষ্টা করবেন না: সাকিব
আহতরা হলেন, জমশেদ গ্রুপের উপজেলার রাণীপুকুর ইউনিয়নের আজিতপাড়া গ্রামের মো. জমশেদ আলী, একই গ্রামের আবু সাইদ, একই গ্রামের মো. জাহিদ মিয়া, একই গ্রামের মোতালেব, একই গ্রামের কুলসুমা এবং মাহাবুল গ্রুপের ওই গ্রামের ওয়ারেছা বেগম। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা মীমাংসার জন্য সময় নেওয়ায় মামলাটি রেকর্ড করা হচ্ছে না।
জানা যায়, মঙ্গলবার উপজেলার রাণীপুকুর ইউনিয়নের আজিতপাড়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মাহাবুল গ্রুপের মাহাবুল ইসলাম, মো. এনামুল হক, মো. নূর আমিন, মো. বাবু মিয়া, মোছা. অরেচা বেগম, মোছা. তানিয়া বেগম এবং মোছা. আশা মনির নেতৃত্বে লাঠি, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
ভুক্তভোগী জমশেদ আলী বলেন, আমার ফুফু ওয়ারেছা পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করার পর মানবিক দিক বিবেচনায় আব্বু তাকে নিজের জমিতে থাকার জায়গা দিয়েছিল। এখন ফুফু আর তার ছেলেমেয়েরা আমাদের জমিজমা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ২-৩ মাস আগে কবরস্থানে লাগানো গাছ ভাঙচুর করেছিল তার বসতভিটায় ছায়া হয় এই অজুহাত তুলে। এখন আবার ছোরা দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে হাড় ভেঙে আমাদের সবাইকে আহত করার পরেও তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
ভুক্তভোগীর দাবি জাতীয় পার্টির ও বিএনপির নেতা তার কাছ থেকে টাকা দাবি করেছিলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় মামলা নিতে থানায় বাধা সৃষ্টি করেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত মাহাবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মিঠাপুকুর থানার এসআই মঞ্জুরুল অভিযোগটি তদন্ত করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্ত করে সত্যটা নিশ্চিত হয়েছি। ভোক্তভোগী-অভিযুক্ত দুজনেই রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় হওয়ায় ওসি দুইদিন সময় দিয়েছেন মীমাংসার জন্য। অন্যথায় মামলা হবে। ভুক্তভোগী জমশেদ আলীর পরিবারের চারজন আহত হয়েছেন ও অভিযুক্তদের একজন আহত হওয়ায় তারাও পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান।
মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলা নেওয়ার মতো বিষয় হলে অবশ্যই মামলা নেওয়া হবে। দুইদিন সময় নিয়েছি। এটা যদি তারা না মানে তাহলে কোর্টে গিয়ে মামলা করুক।