বাংলাদেশের জন্য সহসা পর্যটন ভিসা চালু করছে না ভারত
বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকায় ড. ইউনূস
স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে রিজভীর অভিনব প্রতিবাদ
ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী
নানাবিধ আয়োজনে রাজশাহীতে উদযাপিত হলো মহান বিজয় দিবস ২০২৪। দিবসটি উপলক্ষেসোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে বিভাগীয় কমিশনার ড. খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আলমগীর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামানসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সংস্থার প্রধান, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং নানা শ্রেণি-পেশার সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল ৯টার সময় সার্কিট হাউজ চত্বরে জেলা পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিভাগীয় কমিশনার। সকাল দশটায়জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আড়ম্বরপূর্ণ বিজয় মেলার উদ্বোধন করাহয়। চারু, কারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের এ মেলায় বিপুল সংখ্যক দর্শণার্থী অংশগ্রহণ করেন।এরপর রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে ফুল ও উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। সংবর্ধনা শেষে একই স্থানে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অপরদিকে জেলার ৯টি উপজেলায় একইভাবে বিজয় দিবস পালন করা হয়। জেলার চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা সুলতানা এর সভাপতিত্বে বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে উপজেলা চত্বরে কৃষি, তাতঁ, মৃৎশিল্পসহ বিভিন্ন প্রশাধনীর স্টলের আয়োজন করা হয়। ওই সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আরিফ হোসেন, চারঘাট মডের থানার ওসি আফজাল হোসেন, ওসি (তদন্ত) আব্দুল খালেকসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধাশ্রম, ছোট মনিনিবাস; অন্ধ, মূক ও বধির বিদ্যালয়, সেফ হোম, এসওএস, শিশুপল্লি, শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও বেসরকারি এতিম খানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।