মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ লিমিটেড-এ বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ভুয়া পরিবেশক ও এজেন্ট দেখিয়ে আর্থিক জালিয়াতি করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক অর্থ বা ই-মানি তৈরি করা হয়েছে। এসব কারণে ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার হিসাবের গরমিল দেখা দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ ব্যাংক নগদের পরিচালনায় একটি প্রশাসক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ দেয়, যাদের পরিদর্শনে এসব অনিয়মের তথ্য উঠে আসে।
অনুমোদনহীন পরিবেশক তৈরির দায়ে ছয় কর্মকর্তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে ডাক বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে নগদ পরিচালনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার ডাক অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছেন। এর আগে নগদের শীর্ষ পর্যায়ের পাঁচ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
সাকিবকে গোপনে পাসপোর্ট দেওয়ার আয়োজন
বিপিএ প্রশিক্ষণরত ২৫ এএসপিকে প্রবিকে শোকজ
মহান বিজয় দিবস আজ
জানা গেছে, নগদে এসব অনিয়মের সময় পরিচালনায় আওয়ামী লীগের একাধিক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত ছিলেন। তবে এত বড় অনিয়মের পরেও বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ডাক অধিদপ্তর এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। কর্মকর্তাদের মতে, নগদে সংঘটিত অনিয়ম দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় 'ডিজিটাল জালিয়াতি'। তাই এ ঘটনায় ফরেনসিক নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফরেনসিক নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হবে এবং জালিয়াতি, অনিয়ম ও সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।তবে এই জালিয়াতির কারণে সৃষ্ট আর্থিক দায় এখন ডাক অধিদপ্তরের ওপর বর্তাচ্ছে। কারণ, মোবাইল আর্থিক সেবা পরিচালনার জন্য সাময়িক অনুমতিপত্র ডাক অধিদপ্তরই দিয়েছিল। এ সেবাটি ডাক অধিদপ্তরের পক্ষে পরিচালনা করছে নগদ লিমিটেড, যা একসময় থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেড নামে পরিচিত ছিল।