চবি আবৃত্তি সংসদের 'আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা' অনুষ্ঠিত
এবারের বিপিএল থিম সংয়ের কয়েকটি লাইন প্রধান উপদেষ্টার নিজের, বললেন আসিফ
ভারতে হয়রানির স্বীকার বাংলাদেশি যাত্রীরা, 'ইউনূসের লোক পেলেই মারব' বলে হুমকি
ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় সিএনজি চালক ও বাস শ্রমিকদের মাঝে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহানগরীর রেলগেটে প্রায় ৮০ টির অধিক সিএনজি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে রাজশাহী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখির নেতৃত্বে পিস্তলসহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে সিএনজি চালকরা অভিযোগ করেছেন।
হামলায় আহত সিএনজি চালক আব্দুস সালাম বলেন, প্রতিদিনের মত সিএনজি নিয়ে যাত্রীর জন্য দাঁড়িয়ে ছিলো। হঠাৎ বাস শ্রমিকের প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য হাতে পিস্তল, রোড, হাতুড়ি নিয়ে হামলা চালাতে শুরু করে। এতে প্রায় ৮০ টি সিএনজি ভাংচুর করা হয়েছে। আহত হয়েছে ৪০ জনের অধিক সিএনজি চালক। সিএনজি চালক হাসিবুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করেন ৫০-৬০ জন বাস শ্রমিকরা চারিদিক থেকে ঘিরে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে সিএনজি ভাঙ্গতে শুরু করে। আমারও সিএনজির উপর হামলা চালিয়ে কাচ ভাংচুর করেছে। এই সময় তাদের হাতে লাঠি, লোহার রড, হাতুড়ি ছিলো। একজনের হাতে পিস্তলও দেখা গেছে বলে জানান এই চালক। তারা এই ভাংচুর প্রায় আধাঘন্টা ধরে চালিয়েছে। এতে প্রায় ৮০ টি সিএনজি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
তারা পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে। গতকালকের তানোরের ঘটনার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। এই ঘটনার ক্ষতিপূরণ ও হামলায় জড়িতদের সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কোন রুটে বাস চলাচল না করতে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। সিএনজি মালিক সমিতির সহ-সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রায় ৮০ টির অধিক সিএনজি বাস শ্রমিকরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। চালক প্রায় ৪০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আমরা এর ক্ষতি পূরণের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি এর সুষ্টু তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হিসেবে কোন রুটে বাসচলাচল করতে দেবো না।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর তানোরে সিএনজি চালিত অটোরিকশার শ্রমিকদের হামলায় পাঁচ বাস শ্রমিক আহত হন। এ ঘটনার পর সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। সোমবার দুপুরে ১টার দিকে শ্রমিকেরা নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় লাঠিসোটা হাতে রাস্তায় নামেন। তারা রাস্তার উপর এলোমেলো করে বাস রেখে সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে তাদের শান্ত করে এবং সড়ক ছেড়ে দেয়। এই ঘটনার বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অপনাধীদের চিহিৃত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।