ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার এক হাজারের বেশি সৈন্য নিহত অথবা আহত হয়েছেন। সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সৈন্য হতাহতের এই তথ্য জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদ সদস্যদের কাছে সিউলের গোয়েন্দা সংস্থা একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। এতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর পক্ষে ডিসেম্বরে লড়াই শুরু করার পর থেকে উত্তর কোরিয়ার কমপক্ষে ১০০ সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছিল।
যাকাত বোর্ড থেকে বিতরণ করা হবে ১১ কোটি টাকা
কৌশলে সম্পত্তি লিখে নিয়েছে ছেলে, হাসপাতালে দিন কাটছে বাবার
বাংলাদেশ জামায়াতের আমীর ডা:শফিকুল ইসলামের আগমন উপলক্ষে গাইবান্ধায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়।
সেই প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েকদিন পর নতুন করে উত্তর কোরীয় সৈন্য হতাহতের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য পিয়ংইয়ং হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে। এই সৈন্যদের বেশিরভাগই রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে কুরস্ক অঞ্চলে লড়াই করছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ওই অঞ্চলটির দখল নেয় ইউক্রেনীয় বাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা ও অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া তথ্যে সম্প্রতি ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে নিয়োজিত উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের মধ্যে অন্তত এক হাজার ১০০ জন নিহত অথবা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য উত্তর কোরিয়ার অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ বলেছে, ‘‘পিয়ংইয়ং অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।’’
পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আরও সহায়তা করার জন্য ‘‘আত্ম-বিধ্বংসী ড্রোন উৎপাদন ও সরবরাহ করছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা তথ্য ইঙ্গিত দিয়েছে। দক্ষিণের জেসিএস বলেছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর জন্য ২৪০ এমএম রকেট লঞ্চার এবং স্ব-চালিত ১৭০ এমএম আর্টিলারি সরবরাহ করছে উত্তর কোরিয়া।
সিউলের সামরিক বাহিনী বলেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যুদ্ধের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে নিজেদের প্রচলিত যুদ্ধের সক্ষমতা আধুনিকীকরণের লক্ষ্যও রয়েছে উত্তর কোরিয়ার। যা দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক হুমকি বৃদ্ধি করতে পারে।