কাজী রায়হান তানভীর সৌরভ
খুলনা প্রতিনিধি।
ভারত থেকে দেশে আসছে ২৪ হাজার টন চাল
পাকিস্তানের হামলায় নিহত বেড়ে ৪৬, কড়া জবাব দেবে আফগানিস্তান
ফরিদপুরে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ২০
খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন খুলনা কালেক্টরেট কো-অপারেটিভ ক্যান্টিন।
যে ক্যান্টিন টি পরিচালনা করছেন কালেক্টরেট কর্মচারীবৃন্দ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কয়েক মাস আগেই এই ক্যান্টিন টি উদ্বোধন করা হয়েছে।
ক্যান্টিন টি বাইরে থেকে পরিপাটি দেখা গেলেও সেখানে খাবার খেতে গেলেই শুরু হয় আসল বিপত্তি,
কখনো তারা খাবারের সাথে চুল পরিবেশন করেন, আবার কখনো পরিবেশন করেন বিভিন্ন রোগের জীবানুবাহী মাছি যুক্ত পচা-বাসী খাবার।
পচা মাছি যুক্ত খাবারের কথা ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা অতি দ্রুত সেই মাছি যুক্ত পঁচা খাবার সরিয়ে নিয়ে গিয়ে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
ক্যান্টিন টির জন্য উক্ত এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে নানান প্রশ্ন।
ঠিক খুলনা জেল কারাগারের সীমানা প্রাচীরের সাথেই রয়েছে ক্যান্টিন এর রান্নাঘর এবং জেল কারাগারের সীমানা প্রাচীর ব্যবহার করেই নির্মাণ করা হয়েছে রান্নাঘরটি।
এবং ক্যানটিনের পেছনেই রয়েছে ভূমি রেকর্ডরুম যেখানে জমা রয়েছে ভূমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ হাজারো দলিল।
ক্যান্টিন টির রান্নাঘরে গ্যাস ও মাটির চুলায় প্রতিদিন রান্না হচ্ছে শত শত মানুষের খাবার। কখনো অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনার শিকার হলে মুহূর্তের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যাবে রেকর্ডরুমে থাকা সকল গুরুত্বপূর্ণ দলিল এছাড়া জেল কারাগারের বাউন্ডারি ওয়াল ব্যবহার করেই যেহেতু নির্মাণ করা হয়েছে এই রান্নাঘর.... সেখানে কয়দিদের নিরাপত্তার প্রশ্ন তো থেকেই যায়।
ক্যান্টিন ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে জেল সুপার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান
খুলনা জেলা প্রশাসক এ ক্যান্টিন করার বিষয় অনুমতি দিয়েছেন।
উক্ত সকল বিষয় খুলনা জেলা প্রশাসকের নিকট প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন নিরাপত্তাজনিত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন জনিত কোন প্রকার সমস্যা সেখানে থাকলে সেটি তদন্ত করে অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।