Dhaka, সোমবার, জানুয়ারী ৬, ২০২৫

চট্টগ্রামে আশ্রয় হারাচ্ছে হাতি, ১২ বছরে লোকালয়ে হাতির হাতে ১৬ জনের মৃত্যু।

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:৩৮ এএম
Bangla Today News

 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ নুর নবী

মানুষ মারা যাচ্ছে, ঘরবাড়ি ধ্বংস হচ্ছে, অথচ কোনো উদ্যোগ নেই।’ কেইপিজেড প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক মঈনুল আহসান বলেন, ‘হাতির কারণে আমাদের শ্রমিকরা আতঙ্কে থাকেন। বাগান ও স্থাপনার ক্ষতি হচ্ছে। তবে আমরা হাতির আক্রমণ ঠেকানোর উপায় খুঁজছি।’

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার সুমী বলেন, ‘আমি যোগদান করেছি মাত্র কিছুদিন হলো। বিষয়টি সম্পর্কে আমি যথেষ্ট কনসার্ন আছি। যোগদানের পরপর এটা নিয়ে আমরা ইন্টার্নালি বসেছিলাম। সুতরাং জনস্বার্থে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।’ বনবিভাগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘হাতির আক্রমণে কেউ মারা গেলে সরকার তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। আহত হলে দেওয়া হচ্ছে এক লাখ টাকা। ফসল বা বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।’ তবে স্থানীয়রা বলছেন, এই ক্ষতিপূরণ প্রকৃত ক্ষতির তুলনায় খুবই সামান্য। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘জনজীবন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় আমরা সমন্বিত উদ্যোগ নিচ্ছি। আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার কেইপিজেড এলাকায় মানুষ ও হাতির সুরক্ষাকল্পে বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদনও নেওয়া হয়েছে।’ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক ড. মোল্যা রেজাউল করিম বলেন, ‘হাতির করিডোর সুরক্ষিত করতে সোলার ফেন্সিং ও আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। কর্ণফুলী ও আনোয়ারার মতো এলাকায় বনভূমি ও করিডোর সুরক্ষা না করলে সংঘাত আরও বাড়বে।’ বন ও পরিবেশবিদ ড. সুপ্রিয় চাকমা বলেন, ‘হাতির করিডোর পুনর্গঠন এবং সোলার ফেন্সিং সিস্টেম চালু করা ছাড়া এই সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। পাশাপাশি বনাঞ্চল সুরক্ষা এবং স্থানীয়দের সচেতন করার ওপর জোর দিতে হবে। এ উদ্যোগগুলো নিতে হলে সমন্বিত পরিকল্পনার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বও প্রয়োজন।’


 

Leave a comment