৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত বাংলাদেশে পরিবর্তন এসেছে পাঠ্যবইয়েও। পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় এবার পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হয়েছে মায়ের ডাক সংগঠনের কথা। গুম-খুনের প্রতিবাদে যে সম্মিলিত মঞ্চ গড়ে উঠেছে সেটাই পরিচিত মায়ের ডাক নামে। আর সেই মায়ের ডাক এবার ঠাঁই পেয়েছে পাঠ্যবইতে।
অষ্টম শ্রেণির ইংলিশ ফর টুডে বইয়ের 'Women's Role in Uprising' শীর্ষক অধ্যায়ে সংগঠনটির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আমরা 'মায়ের ডাক' সংগঠনের মতো নারীদের উদ্যোগ দেখেছি, যাদের পরিবারের সদস্যদের গুম করা হয়েছিল। সংগঠনটি স্বৈরাচারী শাসনামলের বিরুদ্ধাচরণের এবং ন্যায়বিচার চাওয়ার প্রতীক হয়ে উঠেছিল। তারা বিক্ষোভ করেছিল এবং তাদের নিপীড়িত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু থামানো যায়নি তাদের।
সাবধান অনেকেই সতেরো বছরে মুখ দেখায়নি এখন টাকা পয়সা নিয়ে এসে দলে ঢুকতে চাইবে -সাবেক এমপি রোমানা মাহমুদ
না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দিন, প্রধান উপদেষ্টাকে দুদু
২০২৪ সালে সড়কে ঝরেছে ৮৫৪৩ প্রাণ, আহত ১২৬০৮
যে মায়েরা হারিয়ে ফেলেছেন তাদের প্রিয় সন্তানকে, শেখ হাসিনার আমলে যাদের গুম খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেই মায়ের ডাকের কথা এবার পাঠ্যবইতে স্থান পেল।
এ বিষয়ে মায়ের ডাকের অন্যতম সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি গণমাধ্যমকে বলেন, এটা একটা ইতিহাস। এটা অনুপ্রাণিত করবে। আমার কাছে এটা সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে যে নিখোঁজদের পরিবারগুলো কিভাবে সংগ্রাম করে গেছে।
এ ছাড়া অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী গান তুলে পাঠ্যবইয়ের পাতায় ঠাঁই পায় দেশের জনপ্রিয় দুই র্যাপার মুহাম্মদ সেজান ও হান্নান হোসাইন শিমুল। এবারের সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়েছেন এ দুই সংগীত শিল্পী।
জুলাই গণঅভ্যুথ্থানে প্রেরণা ও সাহস জুয়েছিল হান্নানের ‘আওয়াজ উডা’ ও মুহাম্মদ সেজানের ‘কথা ক’। আন্দোলনের সময় এ গানের জন্য জেলেও যান হান্নান। অন্যদিকে কারাগারে না গেলেও বিভিন্ন মহল থেকে চাপের শিকার হন সেজান। এবার তারই গল্প তুলে ধরা হয়েছে সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যবইয়ের নিউ জেনারেশন অধ্যায়ে।