Dhaka, সোমবার, জানুয়ারী ২০, ২০২৫

মধ্যরাতে জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রী হলের কক্ষ থেকে যুবক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
Bangla Today News

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নওয়াব ফয়জুন্নেসা ছাত্রী হলের একটি কক্ষ থেকে এক যুবককে আটক করেছে ছাত্রীরা। শনিবার মধ্যরাতে আটক করার পর তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে হল প্রশাসন ও প্রক্টোরিয়াল বডি।

আটক যুবকের নাম আশরাফুল আলম পারভেজ ওরফে যাযাবর পারভেজ। তার বাড়ি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ডাবলমুরিং থানায়। তিনি ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেন বলে জানা গেছে। তবে সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানা যায়নি। বর্তমানে গাজীপুরে থাকেন। হিম উৎসব দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান হিম উৎসব দেখা শেষে এক নারী শিক্ষার্থীর সহায়তায় হলে প্রবেশ করেন আশরাফুল। পরে তাকে হলের তৃতীয় তলায় মেয়েটি তার কক্ষে নিয়ে যায়। হল গেটের প্রহরী যাতে টের না পান সেজন্য আশরাফুল গায়ে চাদর মুড়িয়ে প্রবেশ করেন। তবে ওই ছেলে কক্ষে গিয়ে চাঁদর খুলে ফেললে আশপাশের কক্ষে থাকা ছাত্রীরা তাকে শনাক্ত করেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে পারভেজকে শাড়ি ও টিপ পরিয়ে দেয় হলের ক্ষুব্ধ আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

এরপর ছাত্রীরা ওই যুবককে আটক করে হল প্রভোস্টের কক্ষে নিয়ে যায়। পরে হল প্রভোস্ট প্রক্টরিয়াল বডিকে খবর দেয়। একপর্যায়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি পরিদর্শক দলের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ সময় হলের ক্ষুব্ধ ছাত্রীরা ওই যুবককে জুতাপেটা করে।

অভিযুক্ত আশরাফুল জানায়, তিনি যে কক্ষে গিয়েছিলেন সেই কক্ষের মেয়ের সঙ্গে তার ফেসবুকে পরিচয়। হিম উৎসব দেখা শেষে থাকার জায়গা না থাকায় বিষয়টি তাকে জানায়। তখন মেয়েটি তাকে হলে নিয়ে যায়।

নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের হল সুপার নাদিয়া সুলতানা বলেন, হলের মেয়েরা ওই ছাত্রীর রুমে ছেলেটির উপস্থিতি বুঝতে পেরে আমাকে জানায়। তাৎক্ষণিক আমি হলের খালাকে সঙ্গে নিয়ে রুমে যাই। দরজা খোলার পর আমি তাকে খাটের ওপরে বসে থাকা অবস্থায় দেখতে পাই। সঙ্গে সঙ্গে আমি হল প্রভোস্টকে বিষয়টি জানাই।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হই। অভিযুক্তদের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, হল কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রক্টরিয়াল টিমকে পাঠাই। এরপর আটক ছেলেকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হল অভিযুক্ত নারী শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।

Leave a comment