গাজীপুরের টঙ্গীতে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল ও তার চাচা গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমানের বাড়িতে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করছেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। রাত ৯টা পর্যন্ত ভাঙচুরের একপর্যায়ে অনেকেই বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে মালামাল লুট করে। পাশাপাশি কিছু জিনিসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
চাঁদপুরে জাহাজে ৭ জনের মরদেহ পাওয়া গেলো
সাত মাস পর কবর থেকে তানজিন তিশার সহকারীর লাশ উত্তোলন
The new notes will be available from March 31
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার রাতে ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে ‘বুলডোজার মিছিলের’ ডাক দেয় ২৪-এর বিপ্লবী ছাত্রজনতা।
সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের ম্যুরাল ভাঙচুর, আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ি ও আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে আজ সন্ধ্যার পর জাহিদ আহসান, তার চাচা মতিউর রহমানের বাড়িতে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালান ছাত্র-জনতা।
জাহিদ আহসান ও মতিউরের বাড়ি টঙ্গীর নোয়াগাঁও এলাকায়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তারা আত্মগোপনে আছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, বাড়ি দুটির সামনে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ঘোরাঘুরি করছিলেন স্থানীয় কিছু ছাত্র-জনতা। এর মধ্যে সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পর তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে বাড়ি দুটিতে হামলা ও ভাঙচুর চালান। একপর্যায়ে মতিউর রহমানের বাড়িতে থাকা একটি পরিবারের তিন সদস্যকে বের করে দেন।
ঘটনাস্থলে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা জানান, জাহিদ আহসান ও মতিউর রহমান এলাকায় বিভন্ন মানুষের ওপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার করেন। এসব কারণে তাদের ওপর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল তাদের। সেই ক্ষোভের অংশ হিসেবেই বাড়ি দুটিতে তারা ভাঙচুর চালান। এর মধ্যে বাড়ি দুটি এক্সকেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানান।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য পাঠিয়েছি। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত আছে। বাড়ির ভেতর কিছু জিনিসে আগুন দিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ জনতা। তবে সেটি বড় হওয়ার আগেই নিভে যায়।