জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তারা অনশন শুরু করেন।
স্বামীর কল রিসিভ না করা কাল হলো স্ত্রীর জন্য!
গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীসহ ১১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শক্তির নতুন প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা এপ্রিলে
অনশনে বসা দুই শিক্ষার্থীর একজন ঢাবির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. ওমর ফারুক। অপরজন দর্শন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আবু সাঈদ।
ওমর ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ বিগত ১৬ বছর ধরে হত্যা, মামলা, গুম-খুন করেছে। ১৬ বছর কোনো ধরনের বিচার হয়নি। মূলত শেখ হাসিনা বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছেন। চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে প্রায় দুই হাজার তাজা প্রাণের বিনিময়ে আমরা নতুন করে স্বাধীন হয়েছি। তবুও ছাত্র হত্যাসহ বিগত ১৬ বছরের অপরাধের কোনো বিচার হয়নি।
তিনি বলেন, কিছুদিন পর পর কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আবার ১৫-২০ দিন যেতেই জামিন পেয়ে যায়। সাধারণ একটা মানুষ হত্যার আসামি হলে তাকে অনেক দিন জেলে রাখা হয়। অথচ প্রায় দুই হাজার মানুষ হত্যাকারীর একজনকেও কি আপনারা যথাযথ বিচার করতে পারছেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছাত্রলীগ হামলা করলো- উপাচার্য কয়জনকে বিচারের আওতায় এনেছেন? কতজন শিক্ষক-ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার হয়েছেন? সুতরাং আওয়ামী লীগের বিচার এবং নিষিদ্ধ ছাড়া আমরা অনশন ভাঙবো না।
শিক্ষার্থী মো. আবু সাঈদ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ প্রায় ২ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। নির্মম সেই হত্যাকাণ্ডের দায়ে তাদের বিচার করতে হবে। স্বৈরাচার-ফ্যাসিট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে ঢাবির এই শিক্ষার্থী বলেন, বিপ্লবী সরকারের কাজ হওয়া উচিৎ বিপ্লবীদের মতো। ফ্যাসিস্টদের ধরে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া সিরিয়াতে যেমন আসাদের দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, বাংলাদেশেও গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।