জেলা প্রশাসকদের নিজ নিজ শহরে বিশেষ বিশেষ কিছু নিদর্শন রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের নামে কোথাও কোনো কিছু হবে না। এমনকি সরকারে যারা আছেন তারা কোথাও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতেও যাবেন না।
তিনি বললেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ সবার দাবি-দাওয়া মেটানো নয়, বরং একটি সুশাসিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণ। একটি সুন্দর নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাওয়া। সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারেন।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে সামনে নির্বাচন আসছে, সেই নির্বাচনকে কীভাবে সুষ্ঠু করা যায় সেটিই আমাদের সরকারের প্রধান কাজ। সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা সরকারের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে।
সড়কে প্রাণ গেল ২ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
স্বামীর কল রিসিভ না করা কাল হলো স্ত্রীর জন্য!
রংপুরে নারী ফুটবলারদের মাঠে নামতে বাধা, ১৪৪ ধারা জারি
তিনি বলেন, আরেকটা পরামর্শ দিয়েছি, যেহেতু তারা (জেলা প্রশাসকরা) নিজ নিজ এলাকায় ছোট একটি শহরে থাকেন, সেই শহরগুলোতে আমরা ছোটবেলায় যা দেখেছি, তখনকার দিনে যারা জেলা প্রশাসক ছিলেন বা মহকুমার প্রশাসক ছিলেন তারা কিন্তু একটা কিছু (নিদর্শন) সেই শহরের জন্য রেখে যেতেন। সেটা হোক একটি সুন্দর দীঘি, স্টেডিয়াম, স্কুল বা একটি সুন্দর পার্ক।
‘আমি ব্যক্তিগতভাবে পরামর্শ দিয়েছি আপনারা আপনাদের প্রতিটি শহরে যেখানে যে আছেন একটা কিছু আপনাদের নিদর্শন রেখে যাবেন। যেন অনেক পরেও সবাই বলতে পারে আপনি ওই শহরের প্রশাসক ছিলেন। এটি আমার ছোটবেলার অভিজ্ঞতা থেকে বললাম।’
শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা আরও বলেন, আগে জেলা প্রশাসকের নামে অনেককিছু হতো। আজকে সবকিছুই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নামে হয়, প্রশাসকদের নামে কিছু হয় না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যারা আছেন তাদের নামে কোথাও কোনো কিছু হবে না। আমরা কোনো ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে যেতে চাই না, আমাদের একমাত্র কাজ হলো একটি সুন্দর নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাওয়া।