ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষের পর এবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানান কুয়েটের তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েটের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নোটিসে স্বাক্ষর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিচুর রহমান ভূঁঞা। মঙ্গলবার সিন্ডিকেটের ৯৯তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে দুপুরে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনে আবার তালা ঝুলাতে গিয়েছিল একদল শিক্ষার্থীরা। আগের দিন রাতে কুয়েটের উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ ঢাকা থেকে খুলনায় ফিরে তার বাসভবনে অবস্থান করার খবরে ক্ষুব্ধ হন শিক্ষার্থীরা।
মার্চে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব
এই প্রথম শিক্ষা ও শিক্ষকের উন্নয়নে ইউনেস্কো-হামদান পুরষ্কার পেল গুড নেইবাইর বাংলাদেশ
ভারতে পালানোর চেষ্টা, দিনাজপুরের বিরল সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে আটক।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে উপাচার্যকে বাসভবন থেকে বের হয়ে যেতে সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা। সেইসঙ্গে উপাচার্যের বাসভবনে আবার তালা ঝোলানোর ঘোষণা দেন তারা। পরে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার পর তালা না লাগিয়ে সেখান থেকে ফিরে যান।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়; এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
ঘটনার পরদিন বুধবার সন্ধ্যায় খানজাহান আলী থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মামলায় বিএনপি ও যুবদলের চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ছাড়া সংঘর্ষের দিন পাঁচজনকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। যাদের প্রিজন সেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
শুক্রবার তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে খানজাহান আলী থানার ওসি কবীর হোসেন জানান।