কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই যমুনা সেতু ব্যবহারকারী প্রতিটি ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী আগামী ১৮ মার্চ যমুনা রেল সেতু উদ্বোধনের পরদিন অর্থাৎ ১৯ মার্চ থেকে বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের। রবিবার (৯ মার্চ) অনলাইনে ছেড়েছে ১৯ মার্চের ট্রেনের টিকিট। সেখানেই দেখা যায় প্রতিটি ট্রেনের টিকিটের মূল্যের পার্থক্য।
এর মধ্যে ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী ধূমকেতু, সিল্কসিটি ও পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া ১৯ তারিখ থেকে শোভন চেয়ার ৪০৫ টাকার স্থলে ৪৫০ টাকা, স্নিগ্ধা ৭৭১ টাকার স্থলে ৮৬৩ টাকা, এসি স্পেশাল ৯২৬ টাকার স্থলে ১০৩৫ টাকা এবং এসি বার্থ ১৩৮৬ টাকার স্থলে ১৫৪৭ টাকা।
উত্তরার রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে
আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে কিনা, জনগণই নির্ধারণ করবে: সালাহউদ্দিন
No metro rail to run on Fridays, reduced headway likely
এর অর্থ ১৯ তারিখের পর প্রতি যাত্রীকে শোভন চেয়ারের জন্য ৪৫ টাকা, স্নিগ্ধার জন্য ৯২ টাকা, এসি স্পেশালের জন্য ১০৯ টাকা এবং এসি বার্থের জন্য ১৬১ টাকা বেশি দিতে হবে।
এছাড়া বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া শোভন চেয়ার ৪৫০ টাকার স্থলে ৪৯৫ টাকা, স্নিগ্ধা ৮৫১ টাকার স্থলে ৯৪৯ টাকা এবং এসি স্পেশাল ১০২৪ টাকার স্থলে ১১৩৯ টাকা। এই ট্রেনে শোভন চেয়ারের জন্য ৪৫ টাকা, স্নিগ্ধার জন্য ৯৮ টাকা এবং এসি স্পেশালের জন্য ১১৫ টাকা বেশি দিতে হবে।
ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো ছাড়াও যমুনা সেতু দিয়ে চলাচলকারী যেসব ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে সেগুলো হলো— নীলসাগর এক্সপ্রেস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, চাপাই মেইল, চিলাহাটি এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি নবনির্মিত যমুনা রেল সেতু দিয়ে প্রথমবারের মতো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সেদিন রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ‘সিল্কসিটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি প্রথম যমুনা রেল সেতু অতিক্রম করে ঢাকার দিকে রওনা হয়। তবে সেদিন থেকে আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। আগামী ১৮ মার্চ সেতুটি উদ্বোধনের পর থেকে দুই লাইন দিয়ে চলবে ট্রেন।
২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর নয় হাজার ৭৩৪ কোটি সাত লাখ টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর ওপর ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের রেল সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরে এর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি দুই লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু পরে সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
সেতুটির ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি’ ও আইএইচআই জয়েন্ট ভেঞ্চার। প্রকল্পের শুরুতে দেশের দীর্ঘতম এই সেতুর নাম ছিল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’। অন্তবর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর গত বছরের ডিসেম্বরে সেতুর নাম পরিবর্তন করে ‘যমুনা রেল সেতু’ নামকরণ করা হয়।