সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্তমানে মুহূর্তের পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যোগাযোগ এখন খুব সহজ হয়েছে। এছাড়াও, কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রোফাইল ভিজিট করলেই হলো। কারণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা ছবি শেয়ার করে থাকি। তাই তো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কখনোই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা উচিত নয়, যা বিপদ ডেকে আনতে পারে। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের বিভিন্ন বিষয়ে ট্রল করা যেন সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। ট্রল একটা সীমারেখা পর্যন্ত মানানসই হলেও টা সীমা অতিক্রম করলে অনেকেই সামলাতে পারেন না। পোস্ট দেওয়ার পরে সেটাতে কেউ কটু কথা বললে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে মানুষের কাছে। এর প্রভাব ব্যক্তিগত জীবনে পড়তে শুরু করে। মূলত ট্রলারদের মধ্যে সাইকোপ্যাথ বা অন্যকে দুঃখ পেতে দেখে আনন্দ পান এমন মানসিকতার মানুষ বেশি।
AUSTRALIA LIKELY TO BAN SOCIAL MEDIA USE FOR THOSE UNDER 16
মাথায় বসানো হবে এলন মাস্কের নিউরালিংক
GRAMEENPHONE LAUNCHES ECO-FRIENDLY BILLBOARD IN COX'S BAZAR
ট্রলের অন্যতম বড় প্রভাব পড়ে একাগ্রতা ও মনঃসংযোগে। আর সোশ্যাল সাইটে যেহেতু মন্তব্যের কোনও সময়সীমা থাকে না। তাই দেখা যায় একই পোস্টের মন্তব্য চলতেই থাকে অবিরাম। কাজের ফাঁকে মন ছুটে যায় সেই মন্তব্যগুলোর দিকে। এগুলো যেমন মনের ক্ষতি হয়, তেমনি মনোযোগেও সমস্যা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল সংস্কৃতি নতুন নয়। তবে এর থেকে সমাধানেও উপায় রয়েছে।
**** ইগনোর স্ট্র্যাটেজি: অনেক সময় ট্রলিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হয় বিরক্ত করা বা আপনার থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়া। সুতরাং, ইগনোর করাই হতে পারে সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ। প্রতিক্রিয়া না দিলে ট্রলিং করা ব্যক্তি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।
**** আত্মবিশ্বাস বজায় রাখা: ট্রলিং বা নেতিবাচক মন্তব্য আপনার আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন যে আপনার মূল্যবানতা শুধু অন্যের কথায় নির্ভর করে না। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী থাকুন এবং নেতিবাচকতা এড়িয়ে চলুন।
**** নেতিবাচক মন্তব্য ডিলিট করা বা ব্লক করা: যদি কেউ বারবার বিরক্ত করে বা অযৌক্তিকভাবে ট্রল করে, সেই ব্যক্তিকে ব্লক বা রিপোর্ট করতে পারেন। অনেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেই এ ধরনের অপশন রয়েছে, যা আপনাকে ট্রল থেকে রক্ষা করতে পারে।
**** সমর্থন নেটওয়ার্কে বিশ্বাস রাখা: পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা অনুরাগীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সমর্থন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাদের থেকে পাওয়া উৎসাহ আপনার মানসিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
**** পেশাদার সহায়তা নেওয়া: যদি ট্রলিং বেশি সিরিয়াস হয় বা মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে পেশাদার কাউন্সেলিং বা সাইকোলজিস্টের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। তারা মানসিক চাপ মোকাবেলায় আপনাকে গাইড করতে পারবে।
**** হিউমার ব্যবহার করা: কখনও কখনও ট্রলের উত্তরে বুদ্ধিমত্তা ও হিউমার দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো ট্রলিংয়ের প্রভাব কমাতে পারে। তবে এটি খুব সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে, যাতে তা অপমানজনক না হয়ে যায়।