আইফোন নিয়ে আগ্রহ আর ভাবগাম্ভীর্যের যেন শেষ নেই। তবে এবার আইফোন বিক্রি ও নিষিদ্ধ করেছে এশিয়ার একটি দেশ। এমনকি কারও হাতে আইফোন-১৬ দেখা গেলে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় ইন্দোনেশিয়ায় আইফোন ১৬ বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। দেশটির শিল্পমন্ত্রী আগুস গুমিওয়াং কর্তাসাসমিতা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছেন।
বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে চীন
FINLAND IS INTERESTED TO MAKE RECYCLING FACTORY IN BANGLADESH
LinkedIn is going to test a video feed like TikTok
গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দেশটির শিল্পমন্ত্রী বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় আইফোন ১৬ ব্যবহার অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। কেননা দেশটিতে আইফোন ১৬ এর জন্য এখনও আন্তর্জাতিক মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি (আইএমইআই) সার্টিফিকেশন ইস্যু করা হয়নি।
অভিযোগ করা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি অ্যাপল। ফলে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশটিতে অ্যাপলের ১০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের কথা থাকলেও তারা এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয় আইফোনের ইএমআই আটকে দিয়েছে। ফলে নতুন করে কেউ আইফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি কারো হাতে আইফোন দেখা গেলে তাও কর্তৃপক্ষতে জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে শিল্পমন্ত্রী জানান, বিনিয়োগ ঘাটতির কারণে আইফোন ১৬ বিক্রি বা ব্যবহার নিষিদ্ধ হতে পারে।
চলতি বছরের এপ্রিলে আপলের প্রধান নির্বাহী (সিইও) টিম কুক ইন্দোনেশিয়া সফর করেন। এ সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে ভৈঠক করেন। তবে তাতেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। এরপরই চলতি সপ্তাহে আইফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়া সফর করেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী (সিইও) টিম কুক। ওই সময় দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে দেখা করে দেশটিতে অ্যাপলের সম্ভাব্য উৎপাদন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। কিন্তু তাতেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। এরপরই চলতি সপ্তাহে আইফোন ১৬ বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধের ঘোষণা এল। ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফেবরি হেন্দ্রি অ্যান্টনি আরিফ জানান, আইফোন ১৬-এর টিকেডিএন সার্টিফিকেশনের আবেদন পর্যালোচনাধীন রয়েছে। তবে অ্যাপলের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে আইফেন ১৬ বিক্রি বা ব্যবহারের বিষয়টি অনুমোদন পাবে না।