বিপদ যত কঠিনই হোক তা থেকে আল্লাহ ছাড়া কেউ-ই আমাদের মুক্তি দিতে পারে না। বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছেই দোয়া করতে হবে।
আল্লাহতায়ালা তার প্রিয় বান্দাদের বিপদ ও মসিবত দিয়ে পরীক্ষা করেন।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমল ৩ শতাংশেরও বেশি
সৌদি আরব যেভাবে হচ্ছে ‘পাপের রাজধানী’
বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে ৪৯টি ভারতীয় গণমাধ্যম
পবিত্র কুরআনের সুরা বাকারার ১৫৫নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, আর আমরা তোমাদের অবশ্যই পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধনসম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষতি দ্বারা। আর আপনি সুসংবাদ দিন ধৈর্যশীলদের।
রাসুলুল্লাহ (সা.) যখনই কোনো কঠিন সমস্যায় পড়তেন, তখনই আল্লাহর কাছে একান্তভাবে প্রার্থনা করতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) এক লোককে বলতে শুনেছেন, হে আল্লাহ, আমাকে সবরের শক্তি দান করো।
তখন তিনি বললেন, তুমি বিপদ কামনা করেছ সুতরাং তুমি নিরাপত্তা চাও। (মুসনাদে আহমাদ : ৫/২৩১,২৩৫)।
বিভিন্ন বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি চাওয়ার প্রধান পদ্ধতি হচ্ছে দোয়া করা। আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা চাওয়া ও বিপদ-আপদ থেকে মুক্তির জন্য রাসুল (সা.) আমাদের জন্য অসংখ্য দোয়া ও জিকির রেখে গেছেন।
এমন একটি দোয়া রয়েছে যা পড়লে সত্তরটি বিপদ থেকে মুক্তি পেতে পারেন আপনি, সর্বনিম্নটি হলো দারিদ্র্যতা।
হজরত ওমর ফারুক (রা.) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি বাজার দিয়ে যাওয়ার সময় এ দোয়াটি পাঠ করবে, সে ব্যক্তির আমলনামায় ১০ লাখ নেকি লেখা হবে এবং তার আমলনামা থেকে দশ লাখ গুনাহ মুছে দেওয়া হবে।
لااله الاالله وحده لاشريك له الملك وله الحمد يحي ويميت وهوحي لايموت بيده الخير وهوعلي كل شيء قدير
উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলক, ওয়ালাহুল হামদ, ইউহই ওয়া-ই মিতু, বিয়াদিহিল খাইর, ওহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক। তার কোনো শরিক নেই। তার জন্যই বাদশাহী ও রাজত্ব এবং তার জন্যই সমস্ত প্রশংসা।
তিনি জীবন দেন, মৃত্যু দেন। তিনি জীবিত আছেন, মারা যাবেন না কখনোই। সমস্ত কল্যাণ তার নিয়ন্ত্রণে এবং তিনি সমস্ত জিনিসের ওপর ক্ষমতাবান। (তিরমিজি)
হজরত আবু নাঈম ও ইবনে আবি শায়বা (রহ.) একটি আমলের কথা বর্ণনা করেছেন। তারা বলেন, যে ব্যক্তি নিম্নের দোয়া একবার পাঠ করবে- একশবার নয়, মাত্র একবার আল্লাহতায়ালা তার সত্তরটি বিপদ দূর করে দেবেন।
আর সর্বনিম্ন বিপদ হলো দারিদ্র্যতা। আর অন্যান্য বিপদগুলো এর চেয়ে অনেক বড় বড়। যে ব্যক্তি এই দোয়ার আমল করবে, আল্লাহতাআলা তার এসব বিপদ দূর করে দেবেন।
দোয়া :
لاحول ولاقوة الا بالله ولاملجا ولامنجا من الله الا اليه
উচ্চারণ : লা হাউলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি ওয়ালা মালজাআ ওয়ালা মানজাআ মিনাল্লাহি ইল্লাহ ইলাইহি।
দোয়াটি মুখস্ত থাকলে তো ভালো। না থাকলে মুখস্ত করে নিন। নিয়মিত পাঠ করুন। সব রকম সমস্যা থেকে নাজাত পাবেন, ইনশাআল্লাহ।
কানজুল উম্মালে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ইয়াকিন ও দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে এই আয়াতটি পাঠ করবে, আল্লাহতায়ালা তার দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হৃদয়কে প্রশান্তি দান করবেন।
لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
এখানে ইয়াকিন ও দৃঢ় বিশ্বাসের শর্তারোপ করা হয়েছে। কারো অন্তরে এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকলে সে সুফল পাবে না।
বিশিষ্ট সাহাবি হজরত তামিম দারি (রা.) বর্ণনা করেছেন। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এ বাক্য ১০ বার পড়বে সে চল্লিশ লাখ সওয়াব পাবে। বাক্যটি হলো-
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إله إِلاَّ الله، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، إِلهاً وَاحِداً أَحَداً صَمَداً لَمْ يَتَّخِذْ صَاحِبَةً وَلاَ وَلَداً وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُواً أَحَدٌ
উচ্চারণ : আশহাদুআল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, ইলাহান ওয়াহিদান- আহাদান সামাদান- লাম ইয়াত্তাখিজ সাহিবাতান ওয়ালা ওয়ালাদান; ওয়ালাম ইয়াকুল লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
অর্থ : আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ব্যতিত আর কোনো উপাস্য নেই। তিনি একা, তার কোনো শরিক নেই। একক উপাস্য, একাই, অমুখাপেক্ষী, তার স্ত্রী-সন্তান নেই। তার সমকক্ষও কেউ নেই।