মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করে এসেছেন, তিনি হোয়াইট হাউজে থাকলে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউক্রেনে রক্তপাত হতো না। আগামী বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্পের ইউক্রেন নীতি কি হবে, তা নিয়ে জাের আলোচনা চলছে। এদিকে ট্রাম্পের একজন সিনিয়র উপদেষ্টা ব্রায়ান লানজা জানিয়েছেন, চলমান ইউক্রেন সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিন্তা রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চল ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি না করে শান্তি অর্জনের দিকে হওয়া উচিত।
ভারতকে ১১৭ কোটি ডলারের অস্ত্র সরবরাহ: বাইডেনের চুক্তি অনুমোদন
Classified U.S documents leaked, reveals Israel's plans to attack Iran
গাজায় যুদ্ধবিরতি না হলে চাকরি ছাড়ার হুমকি দিল ইসরায়েলি সেনারা
রোববার (১০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ট্রাম্পের উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যদি আলোচনার টেবিলে আসেন এবং বলেন, ক্রিমিয়া আমাদের থাকলেই কেবল আমরা শান্তি আলোচনায় থাকতে পারি, তবে তিনি আমাদের এটিই বোঝাবেন যে, তিনি আসলে আগ্রহী নন।’
তিনি বলেন, ‘ক্রিমিয়া ইতোমধ্যেই হাতছাড়া হয়ে গেছে।’
বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের উইকএন্ড প্রোগ্রামে ব্রায়ান বলেন, ‘জেলেনস্কি যখন বলেন, আমরা এই যুদ্ধ শুধু তখনই বন্ধ করব, ক্রিমিয়া ফিরে পেলেই শান্তি আসবে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে আমরা বলতে চাই: ক্রিমিয়া দখলে হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ক্রিমিয়াকে ফিরিয়ে আনাই আপনার অগ্রাধিকার হয় এবং আপনি চান আমেরিকান সেনারা ক্রিমিয়া ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করুক, তবে আপনার পথ আপনি দেখুন।’
মনে করা হচ্ছে এমন একটি বিবৃতি, মার্কিন পররাষ্ট্র নীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত। এই উপদেষ্টা যুদ্ধ বন্ধের জন্য একটি কূটনৈতিক রেজোলিউশনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। এছাড়া তার পরামর্শ, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত এবং সহিংসতা বন্ধ করা ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার উপর অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
যদিও বাইডেন প্রশাসন এবং ন্যাটোর অনেকেই ক্রিমিয়া এবং ডনবাসের মতো অধিকৃত অঞ্চলগুলোকে ফিরিয়ে আনা সহ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে বহাল রাখতে হবে বলে জোর দিয়ে এসেছেন। কিন্তু ট্রাম্পের উপদেষ্টারা আরও বাস্তববাদী অবস্থানের পক্ষে কথা বলছেন।
‘শান্তি আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত,’ উপদেষ্টা বলেছিলেন যে যুদ্ধবিরতি আনতে আঞ্চলিক ছাড় বা সমঝোতার প্রয়োজন হতে পারে। এর মাধ্যমে এটা অনুমেয়, রাশিয়ার দখলে ইউক্রেনের ভূখণ্ড ফেরাতে তৎপর হবে না ট্রাম্প প্রশাসন।
অবস্থানটি ট্রাম্পের বৃহত্তর ‘আমেরিকা সবার আগে’ বৈদেশিক নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা প্রায়শই বিদেশী সংঘাতে মার্কিন জড়িততা হ্রাস করা এবং প্রতিপক্ষের সাথে সরাসরি আলোচনার উপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানায়।
ইউক্রেন যুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যাহার বা সম্পৃক্ততা হ্রাস রাশিয়াকে উত্সাহিত করতে পারে। বলা যায়, যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াকে সন্তুষ্ট রেখেই প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইবে ট্রাম্পের নেতৃত্বে নতুন মার্কিন প্রশাসন।