পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সমর্থকদের অসহযোগ আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি আগামী ১৩ ডিসেম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারে সমাবেশ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) শাসিত এ অঞ্চলেই সমাবেশটি হওয়ার কথা।
ইউরোপে চরম ডানপন্থীদের উত্থানের নেপথ্য কাহিনী
Japan announces biggest wage hike in 33 years, central bank policy likely to change
আদানির কোম্পানি ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়ায় যেভাবে
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ইমরান খান এক্স-এ একটি পোস্টে জানান, ২৫ নভেম্বরের প্রাণঘাতী বিক্ষোভে দমনপীড়নের ঘটনা এবং গত বছরের ৯ মে সহিংসতায় অন্তত ১২ জন সমর্থকের মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। তিনি আরও দাবি করেন, গ্রেপ্তার হওয়া সব রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।
ইমরান খান বলেন, যদি এই দাবিগুলো মানা না হয়, তবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে। এর যে কোনো পরিণতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
পাকিস্তান সরকার ইমরানের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জানিয়েছে, ২৫ নভেম্বরের বিক্ষোভে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। বরং ৯ মে'র ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে সরকার দাবি করে, ইমরানের সমর্থকরা সেদিন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল।
এরপর গতকাল (৫ ডিসেম্বর) ৯ মে'র হামলার অভিযোগে ইমরান খানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে কারাগারে থাকা ৭২ বছর বয়সী এই সাবেক ক্রিকেট তারকা নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
ইমরান ও তার দল পিটিআই দাবি করেছে, ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার মতবিরোধ হয়। সেই থেকেই তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে একের পর এক মামলা সাজানো হয়েছে।
তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইমরান খানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কয়েক ডজন মামলার এটি সর্বশেষ।
ধারণা করা হচ্ছে, ইমরানের সমর্থকরা ইতোমধ্যেই পেশোয়ারের সমাবেশের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এই সমাবেশ থেকেই পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা নির্ধা
রণ হতে পারে।