নিউইয়র্কের রিপাবলিক বিমানবন্দর থেকে প্লেন উড়িয়ে আকাশে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকলেন বাংলাদেশের স্টুডেন্ট পাইলট ফাহিম চৌধুরী।
The price of gold has decreased 7 times in a row
এক টেবিলে বসছে বাংলাদেশ-ভারত-চীন ও মিয়ানমার
৭০টি বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া
বিজয়ের ৫৩তম বর্ষ উদযাপনে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১৬ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই বিমানবন্দর থেকে মাঝ আকাশে বাংলাদেশের মানচিত্রের রুটম্যাপ তৈরি করতে উড্ডয়ন করেন তিনি। ফ্লাইটটি অবতরণ করে রাত ১টা ৫৪ মিনিটে। ম্যাপটি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশিদের প্রশংসার পান ফাহিম।
আকাশে গোটা ম্যাপটি তৈরি করতে ফাহিমের উড্ডয়ন করতে হয়েছে ২ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট। ফাহিম বাংলাদেশের গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমি থেকে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স অর্জন করেছেন। বর্তমানে কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্সের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণরত আছেন।
নিউইয়র্কের আকাশে বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করা ফাহিম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূর্তিতে একটি বিশেষ কাজ করার চিন্তা থেকেই এ ম্যাপটি তৈরি করেছি। ফ্লাইট রাডার ব্যবহার করে মানুষ অনেক ধরনের অদ্ভুত ও সৃজনশীল জিনিস আঁকে, যা দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। যেহেতু আমাদের দেশের ইতিহাস অনেক সংগ্রামী, তাই এ ম্যাপটি তৈরি করতে গিয়ে আমি চেষ্টা করেছি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে। ফ্লাইট রাডারের মাধ্যমে বিমানগুলোর রুট দিয়ে এমন একটি ম্যাপ তৈরি করা এক ধরনের নতুন অভিজ্ঞতা, যা দেশের প্রতি আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতীক হয়ে থাকবে।
সেসনা-১৭২ ব্র্যান্ডের এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইটটি পরিচালনা করেন ফাহিম। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন তার বন্ধু আসাদ আবদুল্লাহ। যিনি পুরো সময় তার পাশে ছিলেন।
অনুভূতি জানতে চাইলে ফাহিম বলেন, এ ম্যাপ তৈরি করতে গিয়ে আমি অনেক আবেগ অনুভব করেছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের কথা মনে পড়লে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে ত্যাগ ও সংগ্রাম, তা কখনোই ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এ ম্যাপের মাধ্যমে আমি আমাদের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চেয়েছি। তারা যে আত্মত্যাগ করেছেন, তা দেশের প্রতি আমার ভালোবাসাকে আরও গভীর করে তোলে। স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে যে পরিমাণ কষ্ট, ত্যাগ আর সংগ্রাম ছিল, তা ভেবে আমি সত্যিই গর্বিত।