বিশ্ব Read more from
The US had already warned Russia that the attack might happen
DeepSeek sparks AI stock selloff; Nvidia posts record market-cap loss
2.2 billion people in the world do not have access to clean water: UN
হামাস-ইসরাইল, ইউক্রেন-রাশিয়া কিংবা সিরিয়া গৃহযুদ্ধ। যুদ্ধবাজ ডেমোক্র্যাটদের ৪ বছরের শাসনামলে এমন ছোটখাটো অসংখ্য যুদ্ধ দেখেছে বিশ্ববাসী। যুদ্ধ বন্ধের অঙ্গীকার নিয়ে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে রিপাবলিকান এই নেতার একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ভূ-রাজনীতিতে বাড়ছে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির শঙ্কা।
গ্রিনল্যান্ড ক্রয়, পানামা খাল দখল ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এর পেছনে আমেরিকা ফার্স্ট নীতির যুক্তি দেখাচ্ছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি তুলে ধরছেন জাতীয় নিরাপত্তার প্রসঙ্গ। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের উন্মত্ত আচরণের পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিতে পরিণত করার পরিকল্পনা। তাই হুমকিকে হালকাভাবে নেয়া বোকামি হবে তিন দেশের জন্য ।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সাবেক কানাডীয় রাষ্ট্রদূত ডেভিড ম্যাকনটন বলেন, ‘কানাডা কয়েকমাস ধরে রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছে, নতুন নেতা ঠিক করতে নির্বাচন হবে। তিনি যখনই কারো দুর্বলতা দেখতে পান, এর সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করেন।’
তবে কানাডা, পানামা ও গ্রিনল্যান্ড দখলে নেয়ার হুমকি দিলেও বিষয়গুলো এত সহজ নয় বলেও মত বিশ্লেষকদের। তাদের মতে, হুমকি দেয়ার মাধ্যমে মূলত প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ভালো প্রস্তাব আশা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিএনএন বিশ্লেষণ বলছে, পানামা খাল ব্যবহারে মার্কিন জাহাজের জন্য ট্রানজিটের অর্থ ছাড় চাচ্ছেন রিপাবলিকান নেতা। গ্রিনল্যান্ডের খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও মার্কিন ব্যবসায়ীদের লাভবান করার লক্ষ্যে কানাডার সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তিও করতে চান নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিবিসির উত্তর আমেরিকা সম্পাদক সারাহ স্মিথ বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প বিতর্কিত মন্তব্য করতে পছন্দ করেন। দেশ দখল তার পরিকল্পনা হতে পারে, আবার সমঝোতার কৌশলও হতে পারে। সত্যি বিষয়টা কী আমরা জানি না। জনগণকে ধোঁয়াশা মধ্যে রাখার বিষয়টি তিনি সবচেয়ে পছন্দ করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তার প্রতিটি বক্তব্য খুবই সুচিন্তিত।’
আগ্রাসী আচরণের মাধ্যমে সমর্থকদের কাছে প্রশংসা কুড়ালেও ট্রাম্পকে দুয়োধ্বনি শোনাচ্ছে বিরোধী ও ভিনদেশীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে ধীরে ধীরে শত্রুতা তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে করে কানাডা ও পানামার মতো দীর্ঘদিনের মিত্ররা ঝুঁকতে পারে চীনের দিকে। তীব্র হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংকট।