গাজার সীমান্তগুলো পুনরায় চালু করে সেখানে মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর ইসরাইলি জাহাজগুলো লক্ষ্যে হামলা পুনরায় শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে ইয়েমেন। বুধবার (১২ মার্চ) ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।
সায়মা ওয়াজেদকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে অপসারণের বিষয়ে দুদকের চিঠি
The price of the dollar increased by 7 rupees
Iran threatened Israel after the attack
তিনি বলেন, আনসারুল্লাহ নেতা আবদুল-মালিক আল-হুথির জারি করা নির্দেশ অনুযায়ীই এ হামলা চালানো হবে।
এর আগে আনসারুল্লাহ নেতা আবদুল-মালিক আল-হুথি ইসরাইলি সরকারকে চারদিন সময় দিয়েছিলেন। যাতে তারা গাজার সীমান্তগুলো পুনরায় খুলে দেয়। কিন্তু তেলআবিব হামাসের হাতে থাকা বন্দিদের মুক্তি আদায়ের লক্ষ্যে এই সীমান্তগুলো বন্ধ রেখেছে।
এছাড়া গাজার জনগণের ওপর আরও বেশি চাপ প্রয়োগ করতেই ইসরাইল এই অবরোধ বজায় রেখেছে। ইতোমধ্যেই টানা ১৫ মাস ধরে তেলআবিবের এই যুদ্ধবিধ্বংসী কর্মকাণ্ডে ফিলিস্তিনিরা ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়েছেন।
ইয়েমেনি সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মধ্যস্থতাকারীরা যদি এই পরিস্থিতির সমাধান করতে ব্যর্থ হয় (অর্থাৎ সীমান্ত খুলে দিয়ে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি), তাহলে ইয়েমেন ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তাদের সমর্থন জোরদার করবে’।
এতে স্পস্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, ‘এই মুহূর্ত থেকে সমস্ত ইসরাইলি জাহাজের জন্য লোহিত সাগর, আরব সাগর, বাব আল-মন্দেব প্রণালী এবং এডেন উপসাগরে চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো’।
একই সঙ্গে ইয়াহিয়া সারি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো ইসরাইলি জাহাজ যদি এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের চেষ্টা করে, তাহলে তা নির্ধারিত এলাকায় হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে’।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ‘এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে, যতক্ষণ না গাজার সীমান্ত পুনরায় খোলা হয় এবং জরুরি খাদ্য ও ওষুধসহ মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়’।
ইয়েমেনি বাহিনী ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার আগ থেকেই ফিলিস্তিনের গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে আসছে এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি তাদের ‘অটল সমর্থন’ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ইয়েমেনি কর্মকর্তারা, বিশেষ করে আল-হুথি নিজেও এর আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছি বলেছিলেন, যদি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া হয়, তাহলে তারা আবারও সামরিক অভিযান শুরু করবেন।
নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে ইয়েমেনি বাহিনী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকেই ইসরাইলি জাহাজ এবং দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পণ্য সরবরাহকারী জাহাজগুলোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে।
এসব অভিযানের ফলে ইসরাইলের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে এবং সেখানে বসবাসরত অবৈধ দখলদারদের ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে।