মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ইনসাইট (InSight) ল্যান্ডার থেকে পাওয়া নতুন সিসমিক (ভূকম্পন) ডেটার বিশ্লেষণে মঙ্গল গ্রহের গভীরে তরল পানির উপস্থিতির সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করেছে। গবেষকরা ২০২৪ সালে প্রস্তাব করেছিলেন যে, মঙ্গলের গভীর ভূত্বকের (প্রায় ১১.৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে) অঞ্চল পানিতে সম্পৃক্ত থাকতে পারে।
এবার ইউরোপ থেকে সব ধরনের পানীয় সরিয়ে নিচ্ছে কোকা-কোলা
টিউলিপকে নিয়ে উত্তপ্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট, উঠলো ড. ইউনূস প্রসঙ্গ
হিজাব পরতে বলায় ধর্মীয় নেতার পাগড়ি খুলে মাথায় পরলেন নারী
এই গবেষণাটি মার্সকোয়েক (Marsquake) বা মঙ্গলের ভূমিকম্প থেকে পাওয়া সিসমিক তরঙ্গের গতি বিশ্লেষণ করে করা হয়েছে। যা সম্প্রতি আরও জোরালো সমর্থন পেয়েছে।
মঙ্গলের ভূগর্ভে তরল পানি?
জাপানের হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকুও কাটায়ামা এবং মেরিন জিওডায়নামিকস গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইউয়া আকামাতসু নিশ্চিত করেছেন, নতুন এই ডেটা তরল পানির অস্তিত্বের ধারণাকে আরও জোরদার করছে।
কাটায়ামা বলেন, ‘অনেক গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, প্রাচীন মঙ্গলে প্রায় বিলিয়ন বছর আগে পানি ছিল। তবে আমাদের মডেল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, আজকের মঙ্গলেও তরল পানি থাকতে পারে’।
গবেষণার ভিত্তি: ইনসাইটের সিসমিক ডেটা
এই গবেষণার ভিত্তি ছিল নাসার ইনসাইট ল্যান্ডারের SEIS (Seismic Experiment for the Interior Structure) যন্ত্র থেকে পাওয়া ভূকম্পন সংক্রান্ত ডেটা। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মঙ্গলের পৃষ্ঠে কাজ করা ইনসাইট প্রথমবারের মতো মঙ্গলে ভূকম্পন পরিমাপ করেছে।
SEIS তিন ধরনের সিসমিক তরঙ্গ শনাক্ত করেছিল:
P-ওয়েভস (Compression waves): শব্দ তরঙ্গের মতো সামনে-পেছনে দুলে চলে।
S-ওয়েভস (Shear waves): নিচে-ওপরে কম্পনের মাধ্যমে তরঙ্গ তৈরি করে।
সারফেস ওয়েভস: জলাশয়ের পানিতে সৃষ্টি হওয়া ছোট ছোট ঢেউয়ের মতো গ্রহের পৃষ্ঠ বরাবর চলাচল করে।
এই তরঙ্গগুলোর গতি এবং গতিপথ বিশ্লেষণ করে গবেষকরা মঙ্গলের ভূগর্ভে তরল পানির অস্তিত্বের সম্ভাবনা উন্মোচন করেছেন।
মঙ্গলগ্রহে জীবন খোঁজার নতুন দিগন্ত
এই আবিষ্কারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যদি মঙ্গলের ভূগর্ভে তরল পানি থাকে, তাহলে সেখানে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনাও থাকতে পারে। ভবিষ্যতে মঙ্গল গবেষণা ও মানব অভিযানের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।