ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক জীবন বর্তমানে এক গভীর সংকটের সম্মুখীন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো গুরুতর অভিযোগের পাশাপাশি, ৭ অক্টোবরের হামলায় তার ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেট পরিচালিত 'কাতারগেট' তদন্তে উঠে এসেছে, নেতানিয়াহু এবং তার কার্যালয় ৭ অক্টোবরের হামলার বিষয়ে আগে থেকেই অবগত ছিল, কিন্তু তারা নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। এই অভিযোগ ইসরায়েলের রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বাংলাদেশের জনগণের মহত্ত্ব ভুলব না: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
69954 pilgrims reached Saudi
ট্রাম্পের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন ড. ইউনূস
ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎজ-এর প্রতিবেদন অনুসারে, হামাসের কাছে কাতারের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণের সাথে নেতানিয়াহুর উপদেষ্টাদের যোগসূত্র রয়েছে। শুধু তাই নয়, 'হানিবাল নির্দেশিকা' অনুযায়ী সেদিন ইসরায়েলি সেনারা তাদের নিজেদের সৈন্য ও নাগরিকদের হত্যা করেছে, যাতে তারা হামাসের হাতে বন্দী না হয়।
এই পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু শিন বেট প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করেন, যা অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রত্যাখ্যান করে। এই ঘটনা ইসরায়েলের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলের গণতন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিরোধী দলগুলো তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট নেতানিয়াহুকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এছাড়াও, নেতানিয়াহুর বিচারমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নির্বাচন কমিটির গঠন পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন, যা নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এই সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলে রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই ইসরায়েলের জনগণের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যেখানে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে থাকবে নাকি তাকে অপসারণ করবে।