আজ সোমবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে চার দিনের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন। এতে অংশগ্রহণ করবেন চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের শীর্ষ বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ী। এই সম্মেলন চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত, এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। তিনি বলেন, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রায় একশটি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী এবং তারা আগামী ৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে এই বিনিয়োগ বাস্তবায়নে কাজ শুরু করবে।
বাংলাদেশের জনগণের মহত্ত্ব ভুলব না: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
আটক বাংলাদেশিকে ২২ ঘণ্টা পর ফেরত দিল বিএসএফ
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা বয়কট, মদদদাতারাও পাবে না রেহাই: ইরান
এ সময় আশিক চৌধুরী আরও উল্লেখ করেন, মার্কিন শুল্কনীতির কারণে বাংলাদেশের ব্যবসা-বিনিয়োগে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। তিনি আশাবাদী যে, সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে জ্বালানি আমদানির সক্ষমতা বাড়বে, এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এলএনজি আমদানির সুযোগ অনুসন্ধান করছে সরকার।
বিশেষ করে, সম্মেলনে বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় কিছু খাত যেমন বস্ত্র, নবায়যোগ্য জ্বালানি, ওষুধ, কৃষি শিল্প এবং ডিজিটাল অর্থনীতি তুলে ধরা হবে। আশিক চৌধুরী বিশ্বাস করেন, বিনিয়োগকারীদের চাপ একটি সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিনিয়োগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।
এছাড়া, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন, স্যামসাংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাং-জু লি, জিওর্ডানো ইন্টারন্যাশনালের সিইও কলিন মেলভিল কেনেডি কারি, এক্সিলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট, এবং পাকিস্তানের দাউদ গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট। আরও কিছু বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান যেমন মেটা (ফেসবুক), উবার, টেলিনর, টয়োটা, এবং বিভিন্ন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানির প্রতিনিধিরাও সম্মেলনে যোগ দেবেন।
এই সম্মেলনটি বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক পরিবেশে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।