Mohin Talukder প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:১১ এএম
প্রতিবারের মতো এবারও সেপ্টেম্বরে প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষে উঠে এসেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। এ ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স দেশে এসেছে। মোট প্রবাসী আয়ের প্রায় ১৭ শতাংশ এসেছে এই ব্যাংকে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে দেশের মোট ৬০টি ব্যাংকের (সরকারি, বেসরকারি, বিশেষ ও বিদেশি ব্যাংক) মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ২৪ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রবাসী আয়ের ৭০ শতাংশ এসেছে ১০টি ব্যাংকের মাধ্যমে। এ ছাড়া সাতটি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় দেশে আসেনি।
সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ের দিক থেকে শীর্ষ স্থানীয় ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪০২ লাখ ৮০ হাজার ডলার, যা মোট প্রবাসী আয়ের ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩২ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার ডলার, যা মোট আয়ের ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৪ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা মোট আয়ের ১০ দশমিক ২১ শতাংশ। রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার, যা মোট আয়ের ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ ডলার, যা মোট আয়ের ৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা মোট আয়ের ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, যা মোট আয়ের ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, যা মোট আয়ের ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৫৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যা মোট আয়ের ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ঢাকা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ৪৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যা মোট আয়ের ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।
যে ৭টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় দেশে আসেনি সেগুলো হলো হাবিব ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকার), বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, অতীতের তুলনায় প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স প্রেরণে সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে হুন্ডি বা অবৈধ রেমিটেন্সের প্রবণতা কমেছে।