Mohin Talukder প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:৫৯ এএম
পাকিস্তানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের বিক্ষোভে রাজধানী ইসলামাবাদ স্থবির হয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ দমনে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে। বন্ধ রাখা হয়েছে মেট্রোসহ বিভিন্ন পরিষেবা। এর আগে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ইমরান খানের বোনসহ অন্তত ৩০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘোষিত সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে সকাল থেকেই রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইসলামাবাদে প্রবেশ ও প্রস্থান বন্ধ করার জন্য বড় শিপিং কন্টেইনার রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছিল।
পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের বিক্ষোভ দমন করতে প্রশাসন রাজধানীতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইমরানের সমর্থকরা ইসলামাবাদের ডি-চোকে জড়ো হতে শুরু করে।
বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, 'আমি করাচি থেকে এখানে এসেছি। ইসলামাবাদের আজকের যে চিত্র ইতিহাসে আগে কখনো দেখা যায়নি এবং ভবিষ্যতেও হয়তো দেখা যাবে না। এখনো কেউ আসেনি। যা পুরো শহরকে 'কন্টেইনারিজম' বানিয়েছে, ইসলামাবাদ বলে মনে হয় না।'
সম্প্রতি ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি সমাবেশ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরানের মুক্তির দাবিতে শুক্রবার ইসলামাবাদে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন সমর্থকরা। শনিবার পাকিস্তানের লাহোরের মিনারে বিক্ষোভ হবে।
ইসলামাবাদ ও লাহোরে বিক্ষোভের আগের সপ্তাহে পাকিস্তান সরকার কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইমরানের বোনসহ ৩০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কোথাও কোথাও সহিংসতার ঘটনাও ঘটে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি বলেছেন, 'আমরা ইসলামাবাদে প্রতিবাদ করার অনুমতি দেইনি। পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে এমন আচরণ সভ্য নয়। আমি আগেই বলেছি, কেউ আইন ভাঙলে বরদাস্ত করা হবে না।'
বিক্ষোভ এড়াতে রাওয়ালপিন্ডি-ইসলামাবাদ সংযোগ সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফৈজাবাদে দুই স্তরের কন্টেইনার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে। মেট্রো পরিষেবা এবং বাইক-অন-ভাড়া যাত্রী পরিবহন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।