Dhaka, বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
logo

হিজবুল্লাহর আরও দুই কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরাইলের


সিয়াম ইসলাম   প্রকাশিত:  ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:২২ এএম

হিজবুল্লাহর আরও দুই কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরাইলের

ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর আরও দুই কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে। দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলায় তারা নিহত হয়েছেন। এর আগে গত মাসের শেষ দিকে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন।

হিজবুল্লাহর দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে একটি বড় বিমান হামলায় নিহত হন।


নিহত হওয়া শেষ দুই হিজবুল্লাহ কমান্ডার হলেন আহমেদ মুস্তফা আলহাজ আলী এবং মোহাম্মদ আলী হামদান। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে আহমেদ মুস্তাফা কিরিয়াত শমোনা শহরে শত শত রকেট এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল নিক্ষেপের জন্য দায়ী। এছাড়া মোহাম্মদ আলী হামদান উত্তর ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর জন্যও দায়ী বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে যে তারা লেবাননের শহর বৈরুতে একটি অস্ত্র গুদাম এবং দক্ষিণ লেবাননের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় বোমা হামলা করেছে। হিজবুল্লাহ এসব হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে, বুধবার গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই উত্তরাঞ্চলের। সেখানে ছয় দিনের অবরোধের ফলে জাতিসংঘের স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল যেগুলি আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে কাজ করছিল, সেইসাথে হাসপাতালগুলিও।

এছাড়া পশ্চিম তীরে অন্তত চার ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইল। নাবলুস শহরের গভর্নর ঘটনাটিকে কাপুরুষোচিত ও ইচ্ছাকৃত হত্যা বলে অভিহিত করেছেন।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ওয়ার্দানিয়েহ এবং টায়ার জেলায় কমপক্ষে পাঁচজন প্যারামেডিক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রায় এক বছর ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। সেখানে ইতিমধ্যে ৪২,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত অন্তত ৪২,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৯৭ হাজার ৭২০ জন।