সিয়াম ইসলাম প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মন্তব্য করেছেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের যে প্রক্রিয়া ও দ্রুততার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোগ নিয়েছে তা জীবদ্দশায়ও শেষ হবে না। . তিনি বলেন, ২০০৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ১৭ বছরে দায়ের করা (প্রায়) ৪ লাখ মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রত্যাহার করতে হবে। এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার সুযোগ নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ দাবি জানান ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আখন্দ।
মির্জা আব্বাস বলেন, ওয়ান-ইলেভেন সরকার ক্ষমতায় এসে যেভাবে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করেছে, সেভাবেই এটা করা উচিত। অন্যথায় এই মামলা শেষ হবে না।
বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার তিনি আরও বলেন, সারাদেশে দল ও অঙ্গ সংগঠনের ৬০ লাখ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ৪ লাখ মিথ্যা ও অনুপস্থিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সাড়ে ১৭ বছরে এসব মামলায় লাখ লাখ নেতাকর্মী জেল খাটছেন। নিপীড়ন ও গুমের শিকার। এমনকি অনেকে মারাও গেছে। কিন্তু মামলা এখনো শেষ হয়নি।
অন্তর্বর্তী সরকার এসব রাজনৈতিক মামলার অবসান ঘটাতে ধীর (গতি) প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়ায় এসব মামলা সারা জীবনেও শেষ হবে না, যোগ করেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের একটি বড় ষড়যন্ত্রকারী চক্র পতিত আওয়ামী লীগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। এর সঙ্গে দেশি-বিদেশি গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। বিএনপিকে ধ্বংস করতে মরিয়া তারা বহুমুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, যা সত্যিই এদেশের সাধারণ মানুষের ওপর নির্ভরশীল। অতীতে এ দলের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে তাকে হত্যা করা হয়। জাতীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা রায় দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমানকেও মিথ্যা ও প্রতিহিংসামূলক মামলা দিয়ে দেশের বাইরে রাখা হয়েছে। কিন্তু তাদের কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না। কারণ দেশের বিপুল জনতা বিএনপির আছে। তবে এসব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আমাদের সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনীতি এখন বিভ্রান্তিকর বলে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ড. অর্থনীতি বিপর্যস্ত। পতনশীল আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধ্বংস করেছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করেছেন। তিনি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে এমনভাবে ধ্বংস করেছেন যে রাজনীতির চরিত্রে এখন তীব্র নেতিবাচক ও স্বৈরাচারী প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে দেশের অধিকাংশ রাজনীতিবিদ এখন স্বৈরশাসক হয়ে বসে আছেন। দেশ থেকে এই রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে।