Dhaka, বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
logo

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ রামেক হাসপাতালে ৩৭৯ রোগী চিকিৎসা নিয়েছে!


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:১৫ এএম

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ  রামেক হাসপাতালে ৩৭৯ রোগী চিকিৎসা নিয়েছে!

রাজশাহীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে চারঘাটে ডেঙ্গুর প্রবণতা বেশি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সর্বশেষ ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ৩৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে যার মধ্যে ২৪৩ জন রোগী স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। 

রামেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের গত ৭ দিনের তথ্য মতে  চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রোগী ১৫ জন ও চারঘাট উপজেলা থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০ জন। রাজশাহী বিভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও উপজেলায় চারঘাটে ডেঙ্গু রোগীর সখ্যা বেশি। গত বছরও জেলায় চারঘাট উপজেলা ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে পরিচিতি পায়। ওই সময় চারঘাটে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্তে মৃত্যু হয়েছিল। অনুসন্ধানে জানা যায়,  চারঘাট উপজেলার কালুহাটি গ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় আম্বিয়া বেগম (৬০)। তিনি পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। কিন্ত সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৯ অক্টোবর রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

রামেক হাসপাতালের ৬ অক্টোবর রোগী ছিল ৪৩ জন। সর্বশেষ ১৩ অক্টোবর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৬ জনে। এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫১ জন রোগী। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৫ জন। গত ৭ দিনে রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্তে ৩জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার ১০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন রামেক হাপসাতালে। পাবনা জেলা থেকে ১১ জন, সিরাজগঞ্জ থেকে ৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ১৫ জন, রাজশাহী জেলা থেকে ৪৯ জন ও নাটোর জেলা থেকে ৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তথ্যমতে রাজশাহীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। অপরদিকে জেলার বাঘা উপজেলার ৮ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে, মোহনপুরের ৪ জন, চারঘাটের ১০ জন, পুঠিয়ার ৮ জন, বাগমারার ৫ জন, পবার ৫ জন, গোদাগাড়ীর ৭ জন, দুর্গাপুরের ২ জন রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিয়েছে। জেলার সব উপজেলার মধ্যে চারঘাটে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সংখ্য বেশি। 

এই প্রসঙ্গে রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, এ বছর বেশি মানুষ স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বিগত বছর গুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীগুলোর ঢাকায় ভ্রমণের রেকর্ড ছিল। কিন্তু এ বছর নেই। তাতে ধারণা করা যাচ্ছে স্থানীয়ভাবে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। রামেক হাসপাতালে মোট ৩৭৯ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩২৮ জন। এর মধ্যে রাজশাহীতে আক্রান্ত হয়েছেন এমন রোগীর সংখ্যা ছিল ২৪৩ জন। সর্বশেষ ১৩ অক্টোবর হিসেবে অনুযায়ী হাসপাতালটিতে মারা গেছে ৩ জন ডেঙ্গু রোগী।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবু সাঈদ ফারুক বলেন, গত বছর রাজশাহী জেলার মধ্যে চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ছিল। এবারও চারঘাট উপজেলায় বেশি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনিয় ব্যবস্থানেয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া আছে। 
০১৭১৮৪৮৫৪৭৪