Dhaka, শুক্রবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২৪
logo

তিন মাসে বৈদেশিক ঋণ এসেছে ৮৪ কোটি ডলার, শোধ ১১২ কোটি ডলার


Md Jahid   প্রকাশিত:  ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:৫৭ এএম

তিন মাসে বৈদেশিক ঋণ এসেছে ৮৪ কোটি ডলার, শোধ ১১২ কোটি ডলার

বাংলাদেশের ওপর বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশে যে বৈদেশিক ঋণ এসেছে, তা পরিশোধ করা হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি।

 

রোববার (২০ অক্টোবর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের বৈদেশিক ঋণ পরিস্থিতি হালনাগাদ করেছে।

 

 

ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ মোট সুদ ও মূল বাবদ ১১২.৬৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। অন্যদিকে, এই সময়ে সরকার বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশের ৮৪.৬১ মিলিয়ন ঋণ মওকুফ করতে সক্ষম হয়েছে। অর্থাৎ এই তিন মাসে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ২৮ কোটি ডলারের বেশি।

 

ইআরডি সূত্র জানায়, আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ঋণ মওকুফ যেমন কমেছে, তেমনি বেড়েছে ঋণ পরিশোধও। গত অর্থবছরের (2023-24) প্রথম প্রান্তিকে দেশে 128 মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ এসেছে, যা চলতি বছরের তুলনায় 420 মিলিয়ন ডলার বেশি। অন্যদিকে, আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে আড়াই কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে।

 

তবে ছাত্র অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাজেটে শত শত বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সমর্থন মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এখন পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ যেমন কমেছে, তেমনি ঋণ পরিশোধও বেড়েছে। ফলে ঋণ প্রাপ্তি ও পরিশোধের ভারসাম্য ঋণাত্মক।

 

জানা গেছে, ঋণ পরিশোধে জাতীয় বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রয়েছে। তবে ডলারের উচ্চ মূল্য ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের এ সময়ে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বিগত বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।

 

এদিকে গত জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। ওই তিন মাসে সরকারিভাবে মাত্র ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল।

 

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্ত মোট অর্থের মধ্যে অনুদান হিসেবে প্রাপ্ত হয়েছে ১৮২.৫ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে একই সময়ে সরকারকে মূল হিসেবে ৬৮৫.৫ মিলিয়ন ডলার এবং সুদ হিসেবে ৪৪.১ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে।