Dhaka, বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ৯, ২০২৫
logo

'কারও উস্কানিতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে'


সিয়াম ইসলাম   প্রকাশিত:  ০৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম

'কারও উস্কানিতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে'

অধিকারের নামে কেউ বাড়াবাড়ি করছে কিনা সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের আমির। শফিকুর রহমান। একইসঙ্গে কিছু মহলের উস্কানিতে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

আজ (শুক্রবার) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমীরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


জামায়াতের আমির বলেন, একটি মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে স্বৈরাচারের পতনের পর দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি হয়েছে, তা বিশেষ কোনো মহলের প্ররোচনার কারণে তা খতিয়ে দেখা উচিত। কেউ খুন, গুম, ধর্ষণ, লুটপাট করলে তার বিচার করতে হবে। সব ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে কেউ অপরাধ করতে সাহস পাবে না।

ড. শফিকুর রহমান বলেন, সাড়ে ১৫ বছরের কালো মেঘের ছায়া এখনো সরেনি। এই সময়ে জাতীয় ঐক্য দরকার, এখন ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থ দেখার সময় নয়। দলীয় মতপার্থক্য থাকলেও জাতীয় ইস্যুতে ঐকমত্য থাকতে হবে। কোনো পার্থক্য রাখা যাবে না। নিজের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়, এ কথা সবার মনে লালন করা উচিত। জাতীয় ইস্যুতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আল্লাহর অনুগ্রহ পেতে হলে যা খুশি তাই করা উচিত।

এ সময় জামায়াতের আমীর আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী সিন্ডিকেট ভাঙতে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকবেন। তিনি বলেন, পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিয়ে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। জনগণ জুলাই বিপ্লবের মতো সিন্ডিকেট ভাঙতে সহায়তা করবে। দেশের যেকোনো প্রয়োজনে জামায়াতই সবার আগে এগিয়ে যাবে।

ডাঃ শফিকুর রহমান আরো বলেন, গত দেড় বছরে শত শত নেতাকর্মী নিপীড়নের শিকার হয়ে মারা গেছে। নিপীড়ন শেষ হয়নি, ক্ষোভ এখনো রয়ে গেছে। তবে জামায়াত বরাবরই সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। নেতাকর্মীদের প্রতিহিংসা থেকে বিরত থাকার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জামায়াতের আমির বলেন, স্বাধীন দেশ ও জাতি অনেক বেদনাদায়ক দৃশ্য দেখেছে, সেগুলো জাতীয় জীবনে অভিশাপ। আমরা চাই না কেউ আমাদের উপর অত্যাচার করুক, আমরা চাই না কেউ আমাদের উপর অত্যাচার করুক। বিচারের মাধ্যমে সে তার প্রাপ্য পাবে, আইন কেড়ে নেওয়া যাবে না। জামায়াত ন্যায়ের নামে জুলুম সমর্থন করে না। জামায়াত কখনোই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না। কেউ খুনি হয়ে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চায় না।